সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গাঢ় হয়েছিল। তবে অভিযোগ, প্রেমিকা অন্তঃসত্ত্বা হতেই তাঁকে বিয়ে করতে বেঁকে বসেছিলেন পুলিশকর্মী প্রেমিক। যার জেরে আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন যুবতী। শেষপর্যন্ত বনগাঁ মহকুমা আদালত চত্বরেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন ওই যুগল। আইনজীবীদের উপস্থিতিতেই তরুণীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন প্রেমিক।
বছরখানেক আগে ঘটনার সূত্রপাত। সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল যুবক-যুবতীর। গোপালনগরের বাসিন্দা ওই তরুণী। তাঁদের দু’জনের মধ্যে চ্যাটের মাধ্যমে প্রথমে কথোপকথন শুরু হয়েছিল। কিছুদিনের মধ্যেই সেই সম্পর্ক গড়ায় ঘনিষ্ঠতায়। তারপর দু’জনের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ শুরু হয়। ওই যুবক নানা জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যায় তাঁর প্রেমিকাকে। অভিযোগ উঠেছে, তখনই ওই যুবতীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে উত্তম। আর তাতেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই যুবতী। এরপরই ঘটনার অন্য মোড় নেয়। যুবতী তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি উত্তমকে জানাতেই সে তাঁকে বিয়ে করতে বেঁকে বসে।
অবশেষে নিরুপায় হয়ে গত ২২ মার্চ গোপালনগর থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। বিষয়টি জানতে পেরে উধাও হয়ে যান অভিযুক্ত। তিন মাস ধরে বিভিন্ন জায়গায় আত্নগোপন করে ছিলেন। অবশেষে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নদিয়ার নবদ্বীপ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে গোপালনগর থানার পুলিশ।
১০ অগস্ট অভিযুক্তকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। এর পরেই বনগাঁ আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক শান্তনু মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।মামলা চলাকালীন অভিযুক্ত ওই যুবক ও যুবতী একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে হলফনামা জমা দেয় আদালতে।