সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশে প্রশাসনকে ব্যবহারের অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, সন্দেশখালিতে রাজনৈতিক ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। যা শুধু বিজেপির জন্য প্রযোজ্য। এমনকী, এদিন শেখ শাহজাহান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের গাছে বেঁধে রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বর্ধমানে স্কুলের বাইরে মদ খেয়ে রাস্তায় পড়ে আছেন বর্ষীয়ান শিক্ষক!
সুকান্তবাবু বলেন, ‘সন্দেশখালিতে রাজনৈতিক ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই ১৪৪ ধারা শুধুমাত্র বিজেপির জন্য প্রযোজ্য। এমনকী অন্যান্য বিরোধী দলকেও তেমন ভাবে আটকানো হচ্ছে না। বৃন্দা কারাত যেদিন গেছিলেন, তাঁর সাথে তো ১০ – ১২ জন লোক ঢুকে গেছে। বৃন্দা কারাত এমপি, না MLA? আমি যেদিন গেছি আমাকে আটকেছে। আমি যখন বলেছি, বৃন্দা কারাতকে কেন ঢুকতে দিয়েছেন? তখন রাজি হল। বলল, আপনি একা যেতে পারেন। তার মানে এই ১৪৪ ধারা শুধুমাত্র বিজেপির জন্য। আমি সেখানে যাওয়ার পর সেখানকার মহিলারা ফুল ছেটাচ্ছিলেন, শঙ্খ বাজাচ্ছিলেন। হাতে রাখী বাঁধলেন। কিন্তু তৃণমূলকে দেখলে ওই মহিলারাই ঝাঁটা নিয়ে তেড়ে যাচ্ছে।
সুকান্তবাবু বলেন, ‘শেখ শাহজাহানের ভাই, তার সঙ্গী সাথী মিলে ওখানে একটা লুঠের সাম্রাজ্য কায়েম করে রেখেছিল’। আমি তো বলব, ওদের ভাগ্য ভালো। সঙ্গে পুলিশ আছে বলে পাবলিক ধরে গাছে বেঁধে রাখেনি’।
মার্চের শুরুতেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, ‘মার্চে কেন? কেন্দ্রীয় বাহিনী তো পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ৩ মাস আগে থেকে থাকা উচিত। গোটা ভারতবর্ষে কতগুলো রাজ্যে ভোট হয়ে গেল। আমরা তিনটে চারটে রাজ্যে ক্ষমতায় এলাম। শুনেছেন, কোথাও পোস্ট পোল ভায়েলেন্স বলে কিছু হয়েছে? আর এখানে দেখুন, ভোটের আগে থেকে ধমকানি - চমকানি শুরু হয়ে যাবে। এখন অবশ্য গলার ভয়েস কমে গেছে। এখন অত খেলা হবে খেলা হবে বলে চিৎকার করছে না। এখন ইডি - সিবিআই খেলছে’।