তৃণমূলের এখানে যিনি নেতৃত্বে আছেন তিনি রাজনৈতিক বিনোদন ছাড়া অন্য কোনও কাজে লাগেন না। তৃণমূল কংগ্রেসও জানে ওনার কোনও ফেসভ্যালু নেই। নির্বাচন যখন হয় তখন তাঁকে প্রার্থী করা হয় না। উনি রাজনৈতিক বিনোদনের কাজে লাগেন। বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়েই আসানসোলের প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা এভাবেই নিশানা করলেন অনুব্রত মণ্ডলকে। একেবারে রাজনৈতিক বিনোদনকারী বলে কটাক্ষ করলেন তাঁকে।
তিনি আরও বলেন, আমরা নানারকম চাপে থাকি। বিকালে টিভি খুলে মজার কথা শোনার ইচ্ছা হলে অনুব্রত মন্ডলের কথা শুনি। ওনাকে সিরিয়াসলি নিই না। রাজনৈতিক কোনও ক্যারিশ্মা নেই। বীরভূমকে রবীন্দ্রনাথের কর্মক্ষেত্র হিসাবে চিহ্নিত না করে অনুব্রতর জেলা হিসাবে বলা হচ্ছে। এটাই বিড়াম্বনার। এটাই লজ্জার। দাবি জিতেন্দ্রর। এদিন বীরভূম বিজেপির জেলা কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পান্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এদিকে বীরভূম বিজেপিতে ভাঙন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যাঁরা অনুব্রতর মতো নেতার চোখে চোখ রেখে ভয় পেয়ে যাচ্ছেন, যারা এসি ঘরে বসে থাকতে চান, তারাই দলবদল করছেন।
তবে জিতেন্দ্রর মন্তব্য কানে যেতেই অনুব্রতর পালটা মন্তব্য, পান্ডবেশ্বরের একটি মোষকে হারিয়ে এসেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে রাজ্যসভার সদস্য করতে চেয়েছিলেন। আমি তা হতে চাইনি। আমি বিধায়ক বা পুরসভার কাউন্সিলরও হতে চাইনি।