প্রতি ঋতূতেই যেন অন্য রূপে হাজির হয় দার্জিলিং। আর শীতকালে ফুলে ঢাকা দার্জিলিং যেন আরও অপরূপ হয়ে ওঠে। তবে প্রবল কুয়াশার জন্য পথে কিছুটা ঝুঁকি থেকেই যায়। তবে এবার দার্জিলিংয়ে তুষারপাত নিয়ে বিশেষত পর্যটকদের জন্য আশার কথা শোনাল আবহাওয়া দফতর। সিকিম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রবিবার পৌষ সংক্রান্তিতে দার্জিলিং পাহাড়ে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে সোমবার ও মঙ্গলবার দার্জিলিং সংলগ্ন উঁচু এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সিকিম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা তথা আবহাওয়াবিদ গোপীনাথ রাহা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, উত্তর সিকিমে তুষারপাত হচ্ছে। রবিবার রাতের দিকে দার্জিলিংয়ের কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে সোমবার অথবা মঙ্গলবার দার্জিলিং সংলগ্ন উঁচু এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মূল দার্জিলিং শহরের কথা কিন্তু বলা হচ্ছে না। জানিয়েছেন সিকিম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের মুখ্য আবহাওয়াবিদ।
আর তুষারপাতের খবর শুনেই পর্যটকদের অনেকের মনই এখন পাহাড় পাহাড় করছে। দার্জিলিংয়ে তুষারপাত মানেই পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওনা। একে তো মোহময়ী দার্জিলিং আর তার সঙ্গেই শ্বেতশুভ্র তুষারে ঢেকে যাবে রাস্তা, বাড়ির মাথা, গাছের পাতা। আর সেই তুষারের মাঝে প্রিয়জনের সঙ্গে হাত ধরে হেঁটে যাবেন আপনি, এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে চান সকলেই। তবে সেই সুযোগ আসতে মনে হয় আর বেশি দেরি নেই।
এদিকে এবার শীতে দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা একাধিকবার দেখা দিয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা হয়নি। তবে সিকিমের উচ্চ উপত্যকায় হালকা তুষারপাত হয়েছিল। এদিকে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সিকিমের বায়ুমন্ডলের উপরিভাগে পশ্চিমীঝঞ্ঝা তৈরি হচ্ছে। এর ফলে উত্তর সিকিমে হালকা তুষারপাত হয়েছে। এবার কি তবে দার্জিলিংয়ের পালা? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন পর্যটকরা।
তবে গত কয়েকদিন ধরেই দার্জিলিংয়ে একেবারে ঝকঝকে আকাশ। নীল আকাশের বুকে দেখা মিলছে ঝকমকে কাঞ্চনজঙ্ঘার। একেবারেই বঞ্চিত হচ্ছেন না পর্যটকরা। আসলে এই রূপে মোহিত হওয়ার জন্যই তো দার্জিলিংয়ে ছুটে আসা। ঝকমকে রোদে দুচোখ ভরে সেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখছেন পর্যটকরা।
তবে এবার একেবারে বড় উপহারের সম্ভাবনা। তুষারপাতের সম্ভাবনা কতটা প্রবল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই খোঁজখবর করা শুরু হয়ে গিয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে মূল দার্জিলিং শহরে তুষারপাত অতীতে হয়েছে। তবে এবার দার্জিলিংয়ের কিছুটা ওপরের দিকে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।