রবিবার দুর্গাপুরে অস্থায়ী সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে এলেন অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকজন। এদিন বীরভূমের দুবরাজপুর ডাঙ্গালতলা বাজারের এক স্বর্ণ ব্যাবসায়ী গৌতম কর্মকারকে তলব করা হয়েছিল। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ইনি ফোন করেছিলেন গত বছর ২ মে-এর পর। ডাঙ্গালতলা বাজারে তাঁর একটি সোনার শো রুম রয়েছে। কেন অনুব্রতকে ফোন করেছিলেন সেই স্বর্ণ ব্যবসায়ী, তা জানতেই তাঁকে তলব।
তাছাড়া আজ দীনেশ মণ্ডল নামে বীরভূমের রামপুরহাট কুসুমবাগের এক কেবল অপারেটরকে ডেকে পাঠান সিবিআই কর্তারা। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি। কৌশিক দাস নামে কলকাতার এক ঠিকাদারকেও আজ ডেকে পাঠানো হয়। তিনি জানান, জমি জমা সংক্রান্ত একটি সমস্যা নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে গতবছর ২ মে-এর পর ফোন করেছিলেন। পাশাপাশি বীরভূমের মুশারফ আলি নামে অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতাকেও রবিবার সিবিআই দফতরে ডেকে পাঠানো হয়। কোভিদউদ্দীন শেখ নামে বীরভূমের এক তৃণমূল কর্মীকেও এইদিন ডেকে পাঠান সিবিআই কর্তারা। ইনি পেশায় গাড়ি চালক। হুগলীর পাণ্ডুয়ার এক দাঁতের চিকিৎসক আনন্দময় ঘোষকেও দুর্গাপুরের অস্থায়ী সিবিআই অফিসে ডেকে পাঠানো হয় রবিবার।
এদিকে এবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বিজেপি নেতা কালো সোনা মণ্ডলকে তলব করল সিবিআই। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সিবিআই এমন সব নেতাদের তলব করছেন, যাঁরা গতবছর ২ মে ভোটের ফল প্রকাশের পর অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এই আবহে কালো সোনা মণ্ডলকে তলব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে কালো সোনা মণ্ডল দাবি করেন, ‘অনুব্রতদা’কে গতবছর ২ মে ফোন করেছিলেন কি না, তা তাঁর মনে নেই। তবে তিনি এ কথা জানান যে বিজেপি কর্মীদের হিংসার হাত থেকে বাঁচাতে তিনি অনেক তৃণমূল নেতাকেই ফোন করেছিলেন।