'অমিতাভ চক্রবর্তী একজন চিটিংবাজ, গরু পাচারকারী। অবিলম্বে তাকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।' এমনই পোস্টারে ভরে গেল বনগাঁ শিয়ালদা লোকাল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। একদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি যেমন তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, তেমনিই তৃণমূল বিজেপির নেতাদের একাংশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে পাল্টা দাবি করেছে।
বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, তৃণমূল বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে। সেই কারণে তারাই এই ধরনের কাজ করেছে। শুক্রবার বনগাঁ শিয়ালদা লোকালের ডাউন ট্রেনে একাধিক কামড়ায় এই পোস্টার কার্যত বিরম্বনায় ফেলেছে রাজ্য বিজেপিকে।
প্রসঙ্গত, ইদানিং প্রকট হয়ে উঠেছে বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। রাজ্য এবং জেলা সংগঠনে পরিবর্তন আনার পর থেকেই একের পর এক নেতা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ লেফট করেছেন। তারই মাঝে এই কুরুচিকর পোস্টার বিজেপির অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
যদিও তৃণমূল বিজেপির এই অভিযোগকে একেবারেই মানতে চাইছে না। তাদের পাল্টা দাবি, বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতারাই এই ধরনের কাজ করে থাকতে পারেন। এর যুক্তি হিসেবে তাদের বক্তব্য, সম্প্রতি বিজেপির নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। যার ফলে দলের নেতাকর্মীদের একাংশের মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষোভ ঠেকেই এই কাজ তারা করে থাকতে পারেন।
দলের কোন্দল মেটাতে তৎপর হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এর জন্য তারা দলের নেতাদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করছেন। তার পরেও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ লেফট বিদ্রোহ অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এই ধরনের পোস্টার সাটিয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ নেতাদের একাংশের।