এবার সিবিআই তদন্ত চেয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে হলদিয়া শিল্পাঞ্চল জুড়ে পোষ্টার পড়ল। আজ, সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এই পোস্টার পড়ায় জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ বিরোধী দলনেতার মুখ থেকে সততার কথা শোনা যায়। রাজ্যের পরিবর্তন দরকার বলে তিনি সোচ্চার হন। আর তাঁকেই দেখা গিয়েছিল নারদ কাণ্ডে টাকা নিতে। সেখানে তাঁকে সিবিআই ডাকে না। এই অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তাঁর বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, শিল্পশহর হলদিয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চেয়ে পোস্টার পড়েছে। এই পোস্টার দেওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চেয়ে হলদিয়া শিল্পশহর এলাকায় পোস্টার রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
পোস্টারের নেপথ্যে কারণ কী? দু’দিন আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) জিজ্ঞাসাবাদের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ফেরার বিনয় মিশ্রর সঙ্গে আট মাস আগে ফোনে কথা বলে শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে আশ্বাস দেন, মামলাটা তিনি দেখে নেবেন। কয়লা পাচার মামলায় ফেরার অভিযুক্তের সঙ্গে ৮ মাস আগে কথা হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ফোনে কেসটা দেখে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কাছে সেই অডিয়ো ক্লিপ রয়েছে।’ এরপর থেকে রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়।
আর কী জানা যাচ্ছে? শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে মামলা করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। যদিও পাল্টা শুভেন্দু অভিযোগ তুললেও মামলার রাস্তায় হাঁটেননি। তাতে রাজ্যবাসীর মনে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। কারণ অভিষেক স্পষ্ট জানিয়েছেন, অডিয়ো ক্লিপ তিনি আদালতেই জমা দেবেন। সেখানে প্রতিটি ইস্যু নিয়ে বিরোধী দলনেতা আদালতে যান, এটা নিয়ে কেন গেলেন না? উঠছে প্রশ্ন। তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। কারণ কোন পক্ষই এখনও পর্যন্ত পোস্টার লাগানোর কথা স্বীকার করেনি।