আগেই তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসে না ফেরানো নিয়ে পোস্টার পড়তে শুরু করেছিল। এবারে গুরুতর অভিযোগ উঠল বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধে। মহিলাদের মানহানির অভিযোগ তুলে বিজেপি এই বিধায়কের নামে পোস্টার পড়ল। সপুত্র মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসার পরে যে সব নেতার বিজেপি ছাড়ার ব্যাপারে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন চলছিল, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাগদার এই বিধায়ক। তবে এবারে তাঁকে চরিত্রহীন বলে যে পোস্টার পড়েছে, তা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
জানা গিয়েছে, বিজেপি ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে ২টি পোস্টার দেওয়া হয়েছে। একটিতে লেখা হয়েছে, ‘দলের নাম ভাঙিয়ে কত মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। বনগাঁ–বাগদা বর্ডার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছে বিশ্বজিৎ দাস। মমতাময়ী মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গদ্দারি করেছেন এই এমএলএ বিশ্বজিৎ দাস। একে আমরা চাই না।’ পোস্টারের নীচে লেখা আছে, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ। অপর একটি পোস্টারে এক মহিলা-সহ বিশ্বজিতের ছবি দিয়ে লেখা আছে, ‘ইনিই সেই চরিত্রহীন, নীতিহীন বিশ্বজিৎ দাস।’ বিশ্বজিতবাবুর সঙ্গে পোস্টারে কে তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বাগদার আঞ্চলিক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জিত সর্দার জানান, বিশ্বজিৎ দাস একজন বিধায়ক। যেখানে তৃণমূলের ২১৩ জন বিধায়ক আছেন, সেখানে একজন বিধায়কের জন্য তৃণমূলের কর্মীরা এই কাজ করবেন না। বিশ্বজিৎ নিজেই দলে আসতে চেয়েছেন। বিজেপি তা হতে দিচ্ছে না। আসলে গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে জেরবার বিজেপি এখন এই সব কাজ করছে যাতে বিশ্বজিৎ আসতে না পারেন।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির ওই এলাকার মণ্ডল সভাপতি সুজয় বিশ্বাস জানান, বিশ্বজিৎবাবুর ক্যারিশ্মা আছে। তিনি নিজের জোরে এই ভোটে জিতেছেন। হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো। তবে এমনটা নয় যে তিনি দল ছেড়ে চলে যাবেন। তবে যাঁকে নিয়ে এত জল্পনা সেই বিশ্বজিৎ দাস কিন্তু এই প্রসঙ্গে কিছু জানান নি। তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁর সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, 'যা বলার তা ভবিষ্যতই বলবে।'