ছেলের হাতে খুন হয়েছিলেন বাবা। মা ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানালেও ময়নাতদন্ত করেনি পুলিশ। সেই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে আড়াই মাস পর মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাল নদিয়ার পুলিশ প্রশাসন। নদিয়ার চাপড়ার বিডিও দীনেশ দে এবং চাপড়া থানার আইসি তুষারকান্তি বিশ্বাসের উপস্থিতিতে কবর থেকে তোলা হয় বৃদ্ধের মৃতদেহ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার চাপড়ার খ্রিস্টানপাড়ার বাসিন্দা নেপাল মণ্ডল (৬২)। ছোট ছেলে মন্টু মণ্ডলের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই তার সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল। গত ২৭ জুন তাদের মধ্যে বিবাদ চরমে পৌঁছয়। ওই দিন বাবাকে ধাক্কাধাক্কি করে দেয় মন্টু। তার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে পরিবারের সদস্যরা চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এরপর ময়নাতদন্ত না করেই তার দেহ সমাধিস্ত করেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনায় ছেলে এবং পুত্রবধূর বিরুদ্ধে স্বামীকে অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন নেপালের স্ত্রী খুশি মণ্ডল।
তিনি থানায় অভিযোগ জানালেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। শেষে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় মৃতের দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে গতকাল শুক্রবার ওই বৃদ্ধের দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ প্রশাসন। নেপালের বড় ছেলে পিন্টু মণ্ডলের অভিযো, সম্পত্তি বাবার কাছ থেকে নিজের নামে লিখিয়ে নিতে চেয়েছিল মন্টু। কিন্তু বাবা তাতে অস্বীকার করায় সে বাবাকে মারধর করে। তারজেরে বাবার মৃত্যু হয়।