রাত দখলের নামে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত স্থগিত করানোর অভিযোগ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচার’এ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতভর উত্তেজনা ছিল মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে। তবে অধ্যাপকদের একাংশের দাবি, যে ভাবে নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে তা নিয়মবিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন - ‘পুলিশ সঙ্গে না থাকলে এদের চামড়া তুলে ডুগডুগি বাজাতে ১ মিনিট লাগবে না’
পড়তে থাকুন - আরজি কর নিয়ে আর কোনও বিবৃতি নয়, বলবেন শুধু মমতা, নির্দেশ মন্ত্রিসভার বৈঠকে
পড়ুয়াদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ৫১ জন ছাত্রকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হয়। এদের মধ্যে ৫ জনকে সাসপেন্ড করেন কলেজ কাউন্সিলের সদস্যরা। সেই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ‘রাত দখল’এর ডাক দেন বহিষ্কৃত ছাত্র ও চিকিৎসকরা। রাত দখলের নামে নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবিতে কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেন তাঁরা। প্রবল চাপের মুখে গভীর রাতে ফের কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকেন অধ্যক্ষ। সেই বৈঠকে ওই নির্দেশিকা বুধবার পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। বৈঠকের পর অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, বুধবার ফের কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক বসবে। সেখানে এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
যদিও অধ্যাপকদের একাংশের দাবি, বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ বেআইনি। কারণ কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক এভাবে ডাকা যায় না। বৈঠক ডাকার নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। সবাইকে নোটিশ পাঠাতে হয়। তাছাড়া মঙ্গলবার রাতের বৈঠকে কলেজ কাউন্সিলের সমস্ত সদস্য উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন - কারচুপি করতে কি ১৪ বছর লাগে? মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে তিরস্কার কলকাতা হাইকোর্টের
অভিযুক্ত ছাত্রদের তরফে জানানো হয়েছে, তারাও থ্রেট কালচারের বিরোধী। কিন্তু সেই অভিযোগে যে ভাবে পাইকারি হারে ছাত্রদের বহিষ্কার করা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। তদন্ত করে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাতে তাদের কিছু বলার নেই।