টুইটার ছাড়বেন নাকি ভোটকুশলীর কাজ ছেড়ে দেবেন? বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছোড়ার পরে প্রশান্ত কিশোরের সেই ‘স্পেস’ (জায়গা)-এর অর্থ নিয়ে তুঙ্গে উঠল জল্পনা। সেই জল্পনায় ইতি টেনে প্রশান্তের সংস্থা আইপ্যাকের এক আধিকারিক জানান, ভোটকুশলী হিসেবে কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
গত বছর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবির পর রাজ্যের শাসক দলের দায়িত্ব পেয়েছিলেন প্রশান্ত। তারপর থেকে মূলত অন্তরালে থেকেই কাজ করেছেন তিনি। সেভাবে সামনে আসেননি। কিন্তু অমিত শাহের বঙ্গ সফরের শেষ হওয়ার পরদিনই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন ভোটকুশলী। একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘কয়েকটি সহানুভূতিশীল সংবাদমাধ্যমে অতিরঞ্জিতভাবে দেখানো হচ্চে। কিন্তু বাস্তবে পশ্চিমবঙ্গে দু'অঙ্ক টপকাতে পারবে না বিজেপি। বিশেষ দ্রষ্টব্য : দয়া করে এই টুইটটি রেখে দিন এবং বিজেপি যদি এর থেকে একটুও ভালো করে, তাহলে আমি অবশ্যই এই জায়গা ছেড়ে দেব।’
সেই ‘স্পেস’-এর ব্যাখ্যায় নাম গোপন রাখার শর্তে প্রশান্ত-ঘনিষ্ঠ আইপ্যাকের এক এগজিকিউটিভ ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে বলেন, ‘উনি যা বলেছেন, সেটা একেবারে স্পষ্ট। বিজেপি যদি বাংলায় ৯৯ টির বেশি আসন জেতে, তাহলে উনি ওনার চাকরি ছেড়ে দেবেন। বিজেপির যাঁরা এটার বিরোধিতা করছেন, তাঁদের বলা উচিত যে উনি (প্রশান্ত) সঠিক প্রমাণিত হলে তাঁদের রাজনীতি ছেড়ে দিতে হবে।’
যদিও প্রশান্তের চ্যালেঞ্জকে পাত্তা দিতে রাজি নয় বিজেপি। তাঁকে ‘ভাড়া করা সৈনিক’ হিসেবে কটাক্ষ করে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘বিজেপিকে নিশানা করতে নয়, নিজের নিয়োগকর্তাদের খুশি করতে টুইট করেছেন উনি। তাঁর পেশাদারি ক্ষমতার উপর যে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছিল, তা কাটানোর জন্য করেছেন। যেহেতু তাঁকে ভালোমতো টাকা দেওয়া হয়।’
কিন্তু আপনারা কি আইপ্যাকের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন? জয়প্রকাশের দাবি, ‘কোনও রাজনৈতিক দল এরকম প্রতিজ্ঞা করতে পারে না। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি।’