শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রসন্ন কুমার রায়ের গ্রেফতারির তাঁর উত্থানের কাহিনী হতবাক করে দিয়েছে সবাইকে। এবার আলোচনায় প্রসন্ন ঘনিষ্ঠ এক প্যারা টিচারের উত্থানের কাহিনী। পাথরঘাটায় তাঁর বিশাল বাড়ি এখন এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রে। এলাকায় গুঞ্জন, কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে ১১৩ জন অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি করে দিয়েছেন আব্দুল আমিন নামে এই ব্যক্তি। শুক্রবার প্রসন্নের গ্রেফতারির পর থেকেই উধাও হয়ে গিয়েছে সে।
পাথরঘাটা হাই স্কুলে দীর্ঘদিন প্যারা টিচারের চাকরি করতেন আবদুল আমিন। ২০১৬ সালে পাথরঘাটায় বিশাল বাড়ি বানান তিনি। যা নিয়ে এলাকায় শুরু হয় চর্চা। প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে বানানো সেই বাড়িতে না কি বিলাসের যাবতীয় জোগাড় রয়েছে। কিন্তু একজন ১০,০০০ টাকা মাসমাইনের প্যারা টিচার কোথা থেকে পেলেন কোটি কোটি টাকা?
এলাকায় গুঞ্জন, টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির কারবার করতেন আবদুল আমিন। এলাকা ও বাইরের অযোগ্য প্রার্থীদের থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন তিনি। সূত্রের খবর, মোট ১১৩ জনকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন এই আবদুল আমিন। এমনকী নিজের স্ত্রী ও শ্যালিকাকেও চাকরি করে দিয়েছেন।
সন্দেহবাতিকের চরম পরিণতি, মালদায় স্ত্রীর গোপনাঙ্গে লঙ্কা ঢুকিয়ে দিলেন স্বামী
শুধু তাই নয়, এলাকাবাসীরা বলছেন, শ্যালিকার বিয়েতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন আবদুল। প্রসন্নর অফিসেও যেত সে। সেখানে কী কারবার হত তা অবশ্য জানা ছিল না কারও।
সিবিআই জানাচ্ছে, উত্তর ২৪ পরগনার অযোগ্য প্রার্থীদের থেকে টাকা নিয়ে নিয়োগের তালিকা তৈরি করতেন প্রসন্ন। তবে সবার কাছ থেকে নিজে টাকা নিতেন না তিনি। সেজন্য আবদুল আমিনের মতো লোকেদের ব্যবহার করতেন তিনি। এর বিনিময়ে মোটা টাকা কমিশন পেতেন আবদুল। সেই টাকাতেই তৈরি হয়েছে তাঁর বাড়ি।
শুক্রবার প্রসন্নর গ্রেফতারির পর থেকে দেখা যাচ্ছে না আবদুল আমিনকে। বিশাল বাড়ির সমস্ত দরজা জানলা বন্ধ।
পাথরঘাটা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃণালকান্তি মহাপাত্র বলেন, আমি তো এখানে এসে থেকে দেখছি ও প্যারা টিচার হিসাবে কাজ করছে। প্রথমে ২০০০ টাকা পেত ২০০৭ সাল থেকে সরকারি নিয়ম মেনে বেতন পায়। ওর উত্থান আমাদের চোখে লেগেছে। কিন্তু বলে কয়ে তো কেউ দুর্নীতি করে না। আমাদের বলত, নিউ টাউনে জমির দালালি করে। সেখান থেকে ভালো রোজগার হয়। এর থেকে বেশি কখনও জানতে চাইনি। এখন তো মনে হচ্ছে অন্য ব্যাপার।