রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের ঘরোয়া কোন্দল। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হলেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূনবাবু রবিবার বলেন, ‘বেঁচে থাকতে ভোটের আগে কোনও বেইমানকে হাওড়ায় ঢুকতে দেব না।’
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে বিপুল ভোটে হারের পর তৃণমূলে ফেরার জন্য উতলা হয়ে উঠেছিলেন রাজীববাবু। কিন্তু বাদ সাধেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা। প্রকাশ্যে রাজীবের বিরুদ্ধে সরব হন তাঁর। মধ্যপন্থা বার করে রাজীবকে ত্রিপুরায় নিয়ে গিয়ে দলে যোগদান করায় তৃণমূল। তার পর তাঁকে সেরাজ্যেই চালান করে দিয়েছে ঘাসফুল শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু তাতে ক্ষোভ কমছে না ঘরে।
রবিবার এক সভায় প্রসূনবাবু বলেন, ‘ভোটের আগে পার্টি ছেড়ে অনেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। দুদিন আগেও তাঁরা দিদিকে গালমন্দ করেছে। তাঁরাই এখন দিদির ছবি পকেটে নিয়ে ঘুরছে। তাঁদের অন্তত হাওড়ায় আসতে দেওয়া হবে না। আমি বেঁচে থাকতে কাউকে হাওড়ায় ঢুকতে দেব না’। প্রসূনবাবুর হুঁশিয়ারি, ‘প্রয়োজন হলে আমি পদত্যাগ করব। দল যদি বলে তাহলে দল ছেড়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের কাছে পড়ে থাকব। কিন্তু গদ্দারদের ঢুকতে দেব না।’
রাজীবের দলে ফেরা নিয়ে বরাবরই সরব ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও তাঁর ঘরওয়াপসি রুখতে পারেননি তিনি। শেষে নিজের হতাশা দলের শীর্ষনেতৃত্বের প্রতি উগরে দেন তিনি।
রাজীবের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনে তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘মমতাদি নির্বাচনী প্রচারে ডোমজুড়ে বলেছিলেন যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিন চারটে বাড়ি আছে গড়িয়াহাটে, তার টাকার লেনদেন চলছিল দুবাইতে।তা সত্ত্বেও কেন নেওয়া হল সেটা শীর্ষ নেতৃত্বরা বলতে পারবেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন দলের কোনও কর্মীর মনে আঘাত দিয়ে বিশ্বাসঘাতককে দলে ফেরত নেওয়া হবে না। আমি একজন দলের কর্মী। তৃণমূলে থাকতে হলে দলের শীর্ষ নেতারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা মানতে হবে। তবে আমি জানি না এরকম একটা টপ টু বটম কোরাপটেড লোককে কেন দলে জয়েন করানো হল।’ এবার সেই তালিকায় সামিল হলেন প্রসূনবাবুও।