বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সপ্তাহে ৬ দিন ডিম! ‘এরকমই চলুক’ চাইছেন আদিবাসী মহিলারা

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সপ্তাহে ৬ দিন ডিম! ‘এরকমই চলুক’ চাইছেন আদিবাসী মহিলারা

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সপ্তাহে ৬ দিন ডিম! ‘এরকমই চলুক’ চাইছেন আদিবাসী মহিলারা। প্রতীকী ছবি।

হুগলির জেলাশাসক দেবাপ্রিয়া পি বলেন, ‘এখন জেলার সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খুলে গিয়েছে। রান্না করে খাবার দেওয়া হচ্ছে।'

করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ২ বছর ধরে বন্ধ ছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। তবে এখন সবকিছু খুলে গিয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও এখন খুলে গিয়েছে। আর এখন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সপ্তাহে ৬ দিন গোটা ডিম দেওয়া হচ্ছে শিশু এবং মায়েদের। আগে সপ্তাহে তিন দিন ডিম দেওয়া হত। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বাদের দেওয়া হচ্ছে রান্না করা খাবার। হুগলির আরামবাগের রঘুনাথপুরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলোতে এরকমভাবেই সপ্তাহে ৬ দিন ডিম দেওয়ার ফলে খুশি মায়েরা।

হুগলির জেলাশাসক দেবাপ্রিয়া পি বলেন, ‘এখন জেলার সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খুলে গিয়েছে। রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। সকালের টিফিনে ছাতু, চিনি এবং কলা দেওয়া হবে। তবে এখনও সেটা চালু হয়নি। দ্রুতই তা চালু করা হবে।’ নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, শুধুমাত্র হুগলি জেলাতে ৬ হাজারের বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। সবমিলিয়ে সেখানে প্রায় ৪ লক্ষের কাছাকাছি উপভোক্তা রয়েছেন। এখন তাদের প্রতিদিনই রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। এই ছয় দিনের মধ্যে ৩ থাকছে খিচুড়ি, সবজি এবং ডিম। আর বাকি তিন দিন থাকছে ভাত, সবজি এবং ডিম। সরকারের এই উদ্যোগে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন আদিবাসী মহিলারা।

আরামবাগের গোঘাটের কামারপুকুর আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দাদের মতে, অনেক ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে তাদের সন্তানদের মধ্যেও অপুষ্টি দেখা দেয়। প্রতিদিন ডিম খাওয়ার ফলে সেই অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর হতে পারে। এখন তারা চাইছেন দ্রুতই সকালের টিফিন চালু করা হোক। এই টিফিনে শিশুদের জন্য মাথাপিছু ৮ টাকা এবং প্রসূতি ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য সাড়ে ৯ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এখন আদিবাসী মহিলারা চাইছেন এরকম চলতে থাকলে তারা খুবই উপকৃত হবেন।

বন্ধ করুন