রবিবার থেকে শুরু হয়েছে রমজান মাস। এই সময় রোজা ভঙ্গ করতে খাদ্য তালিকায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ফল। কিন্তু ফলের দর তো খুবই বেশি। ফল কিনতে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
হাওড়ার উলুবেড়িয়া এলাকায় প্রচুর সংখ্যক মানুষের বাস। উলুবেড়িয়া ছাড়াও বাগনান, আমতা, শ্যামপুর, পাঁচলা, এই সব এলাকাতেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রচুর সংখ্যক মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা বাস করেন। এখানে ফলের দোকানে বিভিন্ন ফলের দর যথেষ্টই বেশি। জানা গিয়েছে, উলুবেড়িয়ার বাজারে শসা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৮০ টাকা। আপেলের দর কেজি প্রতি ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। আঙুরের দর ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। জামরুল কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দর উঠেছে। খেজুর ৩০০ টাকার ওপর দর উঠেছে। পাকা বেল, আনারস সহ হরেক রকমের ফলের দাম যথেষ্টই বেশি। দাম বেশি থাকার জন্য বিক্রিতেও টান পড়েছে।
কিন্তু কী কারণে এই দাম বৃদ্ধি। জানা যাচ্ছে, এই দাম বৃদ্ধির পিছনে লুকিয়ে রয়েছে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি। এক ফল ব্যবসায়ীর কথায়, তেলের দাম লাগাতার বাড়ার জন্য ফলের দাম বেড়েছে। ট্রাক লোড, আনলোডের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তির কথায়, ‘আগে নাসিক থেকে কলকাতায় আঙুর নিয়ে আসতে যে লরি ভাড়া নিত ৯০ থেকে ৯৫ হাজার টাকা, সেই এখন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা চাইছে।’ জানা যাচ্ছে, দু বছর আগেও মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ১০০ লরি মৌসুম্বি এসেছিল, এবারে তা ১৫ লরিতে নেমে এসেছে। ফলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ফলের জোগানও কমে এসেছে। ফলে এর প্রভাব ফলের দামের ওপরে পড়ছে।