এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই জেলে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থকে ইডি গ্রেফতার করার পরই শোনা গিয়েছিল, একাধিক কাউন্সিলরের দিকে নজর ইডির। এই আবহে এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল দক্ষিণ পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। টাকা নিয়ে প্রাথমিক স্কুলের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বরুণ নন্দী নামক সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এদিকে অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সর্বাণী দাসের বিরুদ্ধেও।
কাউন্সিলর বরুণ নন্দীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। দমদমেরই মল্লিক কলোনির বাসিন্দা বিশ্বনাথ পাল বরুণের বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন। এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বিশ্বনাথ পাল অভিযোগ করে বলেন, '২০১৬ সালে নোট বাতিলের সময় চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন। আমার মতো আরও অনেকের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন সর্বাণী দাস। আমি চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলাম। সেই টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছি।'
এদিকে তৃণমূল নেত্রী এই ঘটনায় নাম নিয়েছেন কাউন্সিলরের। তিনি বলেন, ‘চাকরির আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল কাউন্সিলরের কথা শুনে। কোনও টাকা নেওয়া হয়নি তার জন্য।’ বরুণও দাবি করেন, প্রমাণ পেশ করতে। উল্লেখ্য, ঘটনার সময় বরুণ ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। বর্তমানে তিনি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এই আবহে অভিযোগকারী সংবাদমাধ্যমের সামনে একটি চেক পেশ করেন যাতে বরুণ নন্দীর সই আছে। সেই চেকের মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। এদিকে তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপিও। সঙ্গে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও নাম জড়িয়ে গিয়েছে এই ঘটনায়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে ব্রাত্য বসু এক জনসভায় দাঁড়িয়ে বলছেন, ‘চাকরি পাবে শুধু তৃণমূলের ছেলেরা।’ (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)। এই আবহে ব্রাত্য বসুও চাপের মধ্যে পড়েছেন পার্থ কেলেঙ্কারির মাঝে। তবে তিনি বিষয়টিকে তদন্তাধীন বলে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।