প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ে প্রায় ৭০০ চাকরিপ্রার্থীকে ডেকে মাত্র আড়াইশোর কিছু বেশি প্রার্থীকে কাউন্সেলিং করার সিদ্ধান্তকে ঘিরে তুমুর শোরগোল হুগলিতে। অভিযোগ, বুধবার গোটা দিন হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ভবনের সামনে ঠায় দাঁড় করিয়ে এই ঘোষণা করা হয় রাত ৮টার সময়। দূর–দূরান্ত থেকে আসা বাকি প্রায় ৪৫০ চাকরিপ্রার্থী সেই রাতে চলে যেতে বলেন কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। শুরু হয় বিক্ষোভ।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার দুপুরে। প্রায় ৭০০ চাকরিপ্রার্থীর মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে ওদিনই কাউন্সেলিংয়ের জন্য চুঁচুড়ায় সংসদ ভবনে আসতে বলা হয়। সে মতো দুপুরের পর থেকে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ভবন চত্বরে ভিড় জমাতে থাকেন দূর–দূরান্তের যুবক–যুবতীরা। অভিযোগ, তাঁদের দিনভর অপেক্ষা করতে হয়। শেষে রাত ৮টা নাগাদ সংসদের তরফে মাইকে ঘোষণা করে জানানো হয় যে এদিন আড়াইশোর কিছু বেশি চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিং করা হবে। এবং বাকিদের চলে যেতে বলা হয়। এর পরই শুরু হয় বিক্ষোভ। কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডেকেও ‘প্রতারণা’ এবং নিয়োগে গরমিলের অভিযোগ তুলে সংসদ ভবনের গেট আটকে দেন বিক্ষোভকারীরা।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সংসদ কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। প্রথমে তাতে লাভ না হলেও পরে রাত ২টো নাগাদ সংসদ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেন, তালিকায় যাঁদের নাম নেই তাঁদের শীঘ্রই কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হবে। এই আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ থামান চাকরিপ্রার্থীরা। তবে ওই গভীর রাতে বাছাই করা প্রার্থীদেরও কাউন্সেলিং করা সম্ভব হয়নি। তাঁদের বৃহস্পতিবার কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়। বিক্ষোভ মিটে যাওয়াক পর সংসদ চত্বরেই রাত কাটাতে হয় অনেককে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মহিলারাও। এই গোটা ঘটনা নিয়ে সংসদ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।