লক্ষাধিক টেট ‘অনুত্তীর্ণ’ প্রার্থীকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যাঁরা ৮২ নম্বর পেয়েছিলেন। সংরক্ষিত বিভাগের প্রার্থীদের ক্ষেত্রেই সেই নির্দেশ প্রয়োজ্য হবে। অর্থাৎ ২০১৪ সাল এবং ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেটে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা এবারের টেট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন।
বৃহস্পতিবারই ২১ জনকে এবারের প্রাথমিক টেট নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁদের মধ্যে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট দিয়েছিলেন ১৬ জন। ২০১৭ সালের টেটের পরীক্ষা পাঁচজন দিয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, সংরক্ষিত প্রার্থী হওয়ায় তাঁদের ৫৫ শতাংশ নম্বর পেতে হত। তাঁরা ৮২ নম্বর পেয়েছিলেন। পূর্ণমান ১৫০ হওয়ায় শতাংশের বিচারে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৫৪.৬৭। সেই পরিস্থিতিতে তৈরি হয়েছিল সমস্যা।
আরও পড়ুন: TET: অঙ্কের জট কাটল, ২১ পরীক্ষার্থীকে নিয়োগ পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিলেন বিচারপতি
মামলাকারীদের আইনজীবী দাবি করেন, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই) জানিয়ে দিয়েছে যে ৮২ নম্বর পেলেই টেট উত্তীর্ণ বলে বিবেচনা করতে হবে। সেইসঙ্গে ২০১৪ সাল এবং ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেটের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে যে পরীক্ষা হয়েছিল, তাতে একাধিক ভুল প্রশ্নও ছিল। সেই প্রশ্নের নম্বরগুলি যোগ করা হলেও তাঁরা টেটে উত্তীর্ণ হয়ে যেতেন বলে দাবি করেছিলেন মামলকারীদের আইনজীবী।
আরও পড়ুন: ৫০ নয়, ৪৫ শতাংশ নম্বর থাকলেই বসা যাবে প্রাথমিক টেট-এ, শেষ মুহূর্তে ঘোষণা WBBPE-র
সেই সওয়ালের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ওই ২১ জনকে এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপর শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, শুধু ২১ জন মামলাকারী নন, এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন লক্ষাধিক টেট ‘অনুত্তীর্ণ’ প্রার্থী। যাঁরা একই কারণে ২০১৪ সাল এবং ২০১৭ সালের টেটে উত্তীর্ণ হতে পারেননি। অর্থাৎ যে সংরক্ষিত প্রার্থীরা ৮২ নম্বর পেয়েছিলেন, তাঁরা যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।