নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজোড়া চর্চার মধ্যে রবিবার প্রাথমিক টেট আয়োজন বড় চ্যালেঞ্জ রাজ্য সরকারের কাছে। এরই মধ্যে মালদা থেকে এক বিস্ফোরক অভিযোগ। ইংরেজবাজারের নিবেদিতা গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সোমা ভাদুড়ির অভিযোগ, শুক্রবার স্কুলে ঢুকে মোবাইল ফোন ও হেডফোন রেখে যাওয়ার চেষ্টা করে কয়েকজন যুবক। বাধা দিলে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
রবিবার প্রায় ৭ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী রাজ্যজুড়ে প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় বসবেন। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে পড়েছে তাদের সিট। ২০১৭ সালের পর এই প্রথম প্রাথমিক টেট আয়োজন হবে। প্রাথমিক টেটের পরীক্ষাকেন্দ্র করা হয়েছে ইংরেজবাজারের নিবেদিতা গার্লস স্কুলকেও।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সোমা ভাদুড়ি জানিয়েছেন, ‘শুক্রবার বিকেল ৪টে নাগাদ আমি ও কয়েকজন শিক্ষাকর্মী স্কুলে ছিলাম। বাকিরা তখন বেরিয়ে গিয়েছে। হঠাৎ দেখি কয়েকজন যুবক হুড়মুড়িয়ে স্কুলে ঢুকে পড়ল। তারা কেউ করিডর ধরে ছুটছে। কেউ গাছ বেয়ে সানশেডে ওঠার চেষ্টা করছে। অচেনা যুবকদের স্কুলের ভিতরে দেখে আমরা বেরিয়ে আসি। আমাদের যুবকরা জানায় তারা শৌচাগার ব্যবহার করতে চায়। আমি বলি, এটা মেয়েদের স্কুল। শৌচাগার ব্যবহার করার জায়গা নয়। এরই মধ্যে এক যুবক প্লাস্টিকে মোড়া কিছু একটা দোতলার বারান্দায় ছুড়ে মারে। স্কুলের এক কর্মী গিয়ে দেখেন তার মধ্যে রয়েছে একটি মোবাইল ফোন ও একটি হেডফোন।’
ঘটনার কথা জানিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজবাজারের ওসিকে ফোন করে সোমাদেবী। তাঁর পরামর্শে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এর পর সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরে অভিযোগের প্রতিলিপি দিয়ে এসেছেন তিনি। প্রধান শিক্ষিকার আশঙ্কা, প্রাথমিক টেটে কারচুপি করতেই ফোন – হেডফোন রেখে যাওয়ার চেষ্টা করছিল কিছু পরীক্ষার্থী।