আদালতের লকআপের মধ্যে লুঙ্গি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক বিচারাধীন বন্দি। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর মহকুমা আদালতে। পুলিশ এসে বন্দিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন বন্দি। বিজেপিকে সমর্থন করার জন্যই যে তাঁর এই পরিণতি সে কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গত শুক্রবার শাহজাহান মোল্লা নামে এক বিচারাধীন বন্দিকে বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। আদালতে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। তখন আদালতে লকআপের মধ্যেই লঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সফল হয়নি। পুলিশকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে বারুইপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। শাহজাহানের অভিযোগ, দিনের পর দিন তাঁকে এক থানা থেকে অন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ও তাঁকে মারধর করা হচ্ছে। বিজেপি করার অপরাধেই তার উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। সেইকারণেই তিনি আত্মহত্যা করতে চাইছিলেন। আদালতের মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা করায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শাহজাহান মোল্লা বিজেপি কর্মী। তিনি ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। এদিকে শাহজাহান জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের লোকেরা কোথায় রয়েছেন, তা তিনি জানেন না। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে শাহজাহানের যাবতীয় অভিযোগ রয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছিলেন, শাহজাহানের বিরুদ্ধে জীবনতলায় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করারও অভিযোগ রয়েছে।