বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Malda: তীব্র গরমেও দেওয়া হচ্ছে না পানীয় জল, বাথরুমের জল খেয়েই থাকতে হচ্ছে বন্দিদের

Malda: তীব্র গরমেও দেওয়া হচ্ছে না পানীয় জল, বাথরুমের জল খেয়েই থাকতে হচ্ছে বন্দিদের

বন্দিদের  পানীয় জল না দেওয়ার অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

মালদহের গয়েশ পুরের বাসিন্দা সোমা মজুমদার এনিয়ে পুলিশ সুপার এবং জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি জানান, তার ছেলে গত ২৩ এপ্রিল থেকে মালদহের এই সংশোধনাগারে রয়েছেন।

তাপপ্রবাহে নাজেহাল অবস্থা সর্বত্রই। গত কয়েক দিনে তীব্র গরমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থেকে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এরই মধ্যে অস্বাভাবিক এবং অমানবিক ছবি ধরা পড়ল মালদার জেলা সংশোধনাগারে। তীব্র গরমেও জল দেওয়া হচ্ছে না বন্দিদের। যার ফলে বাথরুমের জল খেয়ে প্রাণ বাঁচাতে হচ্ছে সংশোধনাগারের বন্দিদের। এমন অভিযোগ প্রকাশ্যেই আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বন্দিদের জল-সরবরাহের দাবিতে সরব হয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা।

মালদহের গয়েশ পুরের বাসিন্দা সোমা মজুমদার এনিয়ে পুলিশ সুপার এবং জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি জানান, তার ছেলে গত ২৩ এপ্রিল থেকে মালদহের এই সংশোধনাগারে রয়েছেন। ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন যে, তীব্র গরমে সেখানে জল সরবরাহের কোনও ব্যবস্থা নেয়। ফলে বাধ্য হয়েই বাথরুমে খেতে হচ্ছে বন্দিদের। এমনকি খাবারের মানও অত্যন্ত নিম্নমানের। গরমের মধ্যে কয়েদিদের একসঙ্গে গা ঘেঁষে থাকতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে বন্দিদের মানবাধিকার লংঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই মহিলা।

আইনজীবীদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী, বন্দিদের জন্য প্রত্যেকটি সেলে জলের পাত্র রাখতে হবে। তাছাড়া কোনও রকমভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা যাবে না। খাবারের মান ঠিক রাখার পাশাপাশি বন্দিদের নিয়মিত চিকিৎসা করে ওষুধ সরবরাহ করতে হবে। কিন্তু, তার পরেও সেই সমস্ত গাইড লাইন মানা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ করেছেন মানবাধিকারকর্মীদের একাংশ। শুধু মালদহ জেলায় নয়, বিভিন্ন সংশোধনাগারে এই অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। তবে বাথরুমে জল খাওয়া নিয়ে মালদহের সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার ভিত্তিতে তদন্ত দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার কর্মীরা।

বন্ধ করুন