উপসংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পালায় বিচারাধীন তিন বন্দি। এদের মধ্যে একজনকে পরে ধরা হলেও দুজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ধৃত ওই বন্দিকে সঙ্গে নিয়ে ওই দুজনের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁদের ধরা সম্ভব হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত চিন্তায় আছে পুলিশ প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে সুযোগ বুঝে দুর্গাপুর উপসংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পালায় ভুবন নিয়োগী, মহম্মদ সাহাবুদ্দিন ও নেপাল মিদ্দা নামে তিন বন্দি। খবরটি জানার পরই জরুরি ভিত্তিতে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এরপর সোমবার ভোররাত নাগাদ মলানদিঘির জঙ্গলে ভুবন নিয়োগীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। ভুবন নিয়োগীকে ধরে ফেলার পর কাঁকসার এসিপি সুমন জয়সওয়াল ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ও বাকি দুই পলাতক আসামি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন ও নেপাল মিদ্দার খোঁজ শুরু করে। কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাউকেই এখনও পর্যন্ত ধরা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ ওই দুজনকে ধরার জন্য তল্লাশি শুরু করেছে। কোন পথে ওই দুই আসামি পালিয়েছে, পুলিশ তা বোঝার চেষ্টা করছে। তবে জঙ্গলের পথ দিয়ে তারা যদি অন্য রাজ্যে চলে যেতে সক্ষম হয়, তাহলে তাদের ধরা কষ্টকর হবে বলে পুলিশ মনে করছে। জানা গিয়েছে, এই তিন বন্দিই পেট্রোল পাম্পে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত। উপসংশোধনাগারে রেখে তাঁদের বিচার প্রক্রিয়া চলছে। তবে যে ভাবে সংশোধনাগার থেকে বন্দিদের পালানোর ঘটনা ঘটল, তাতে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিল।