কামারহাটি এলাকার গুলিবিদ্ধ স্বর্ণ ব্যবসায়ীর চিকিৎসা নিয়ে তোলপাড় হয়ে গেল। তাঁকে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র স্থানান্তরিত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল। বেলঘড়িয়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে এই ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ।
গুলিবিদ্ধ স্বর্ণ ব্যবসায়ী রাহুল গুপ্তাকে সাগর দত্ত হাসপাতাল থেকে বেলঘড়িয়া জেনিথ নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বারবার এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন মানুষকে নিয়ে দৌড়াতে হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রোগীর সঙ্গে আসা লোকেরা জেনিথ নার্সিংহোম ভাঙচুর চালায়। গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীকে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ।
বেসরকারি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর পেটে একটি গুলি আটকে ছিল। যেটিকে অপারেশনের মাধ্যমে বের করতে হবে। আর সেটি গ্যস্ট্রো বিভাগের কাজ। কিন্তু সেটি তাঁদের নার্সিংহোমে নেই। তাই রোগীকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। বরং যাতে উপকার হয় তাই স্থানান্তরিত করা হয়। তখনই তারা ভাঙচুর করে।
যদিও রোগীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ‘সুপার স্পেশালিটি নার্সিংহোম বলে প্রচার করে অথচ ডাক্তার থাকে না। বিনা চিকিৎসায় রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’ উল্লেখ্য, শনিবার কয়েকজন দুষ্কৃতী কামারহাটির একটি সোনার দোকানে ঢুকে দোকান মালিক রাহুল গুপ্তাকে গুলি করে। তারপরই চিকিৎসার জন্য ঘুরতে হয় বিভিন্ন হাসপাতালে।