রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিসগুলি থেকে আগেই করোনারভাইরাস টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছিল রাজ্য সরকার। এবার বেসরকারি অফিসগুলিকেও টিকা দেওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছে রাজ্য। বেসরকারি অফিসের ক্ষেত্রে মালিকপক্ষকেই এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে। তাতে পূর্ণ সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকারের।
মঙ্গলবার বণিকসভার এক বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। বৈঠক চলাকালীনই মুখ্যসচিব বলেন, ‘সারা রাজ্যে টিকাকরণের গতি বাড়াতে হবে। প্রথমদিকে মানুষ টিকা নিতে ভয় পেতেন। কিন্তু এখন যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে' এর পরেই তিনি বেসরকারি দফতরে টিকা দেওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘ রাজ্য সরকারি অফিসগুলিতে আগেই কোভিডের টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এ বার বেসরকারি অফিসগুলিতেও সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’
মুখ্যসচিব আরও বলেন, ‘ ৪৫ বছর বয়সি বা তার ঊর্ধ্বে থাকা বয়সসীমার মানুষকে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিসগুলিকে উদ্যোগী হতেই পারে। তবে টিকা নেওয়ার কোনওরকম ঢিলেমি দেওয়া যাবে না। মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, থার্মাল চেকআপ করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।’
টিকার প্রাপ্যতার প্রসঙ্গে মুখ্যসচিব জানান, সোমবারেই টিকাকরণের জন্য কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের চার লাখ ডোজ রাজ্যে এসেছে। ইতিমধ্যেই সেই ডোজগুলি চাহিদা অনু্য়ায়ী বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়েছে। ওই বণিকসভায় উপস্থিত প্রতিনিধিদের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, সংক্রমণের গতির কথা বিবেচনা করে প্রতিদিন ৩০,০০০ মানুষকে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কলকাতায় ১৪৪টি ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে।