উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমে(এনবিএসটিসি) এবার বেসরকারি হাওয়া লেগেছে। এমনটাই দাবি কর্মীদের একাংশের। এর জেরে নিগমের অধীনে কর্মরত চালক, কন্ডাক্টর সহ অন্যান্য কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ ক্রমেই দানা বাঁধছে। এদিকে গোটা দেশ জুড়ে যখন বেসরকারিকরণের নানা উদ্যোগ, তখন এনবিএসটিসির মতো সংস্থায় বেসরকারিকরণের হাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।কর্মীদের একাংশের দাবি একাধিক বাস পরিচালনার বিষয়টি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। তবে কোন রুটে কতগুলি বাস চলবে সেটা নিগমই স্থির করবে। কিন্তু চালক, কনডাক্টর ও বাস রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি কিছু ক্ষেত্রে বেসরকারি ক্ষেত্রেও চলে যেতে পারে। সিটুর কোচবিহার জেলা সম্পাদক জগৎজ্যোতি দত্ত বলেন, এনবিএসটিসির সব ক্ষেত্রেই বেসরকারিকরণের উদ্যোগ ধাপে ধাপে নেওয়া হচ্ছে। ওয়ার্কশপ, বাস, টিকিট কাউন্টার সর্বত্র বেসরকারিকরণের প্রস্তুতি চলছে। এটা কিছুতেই মানব না।
কিন্তু কেন এই পথে হাঁটতে চাইছে নিগম? সূত্রের খবর বিগত কয়েক বছর ধরেই একাধিক রুটে ক্ষতির মুখে পড়েছে নিগম। পাশাপাশি এখনও কিছু ক্ষেত্রে পরিষেবা যথাযথ চালানোর জন্য সরকার ভর্তুকি দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অলাভজনক কয়েকটি রুট বেসরকারি হাতে দেওয়া যায় কি না সেব্য়াপারে চিন্তাভাবনা চলছে। তবে নিগম কর্তৃপক্ষের দাবি এনিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। সবচেয়ে কম সংখ্যক ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে বিভিন্ন রুটে বাস চলে। কোন রুট কতটা লাভজনক, কোন রুটে চালক বা কন্ডাক্টরের ঘাটতি রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত কিছু ফ্যাঞ্চাইজির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য নিগমের তরফে দ্রুত টেন্ডার ডাকা হতে পারে। এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংগঠনগুলির মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তবে যাত্রীদের একাংশের দাবি ভাড়া যাতে না বাড়ে সেটা দেখা দরকার। পাশাপাশি এটি একটি ঐতিহ্যশালী সংস্থা। সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।