বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Jalpaiguri: ‘আমি চাকরি না দিলে তোমরা বার ডান্সার হতে’ অধ্যক্ষের মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক

Jalpaiguri: ‘আমি চাকরি না দিলে তোমরা বার ডান্সার হতে’ অধ্যক্ষের মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক

আনন্দপুর কমার্স কলেজের অধ্যাপকদের বিক্ষোভ।

একজন অধ্যক্ষের মুখে এরকম কুরুচিকর মন্তব্যের পরে সরব হয়েছেন কলেজের অধ্যাপকরা। তাদের আরও অভিযোগ, মহিলা অধ্যাপকদের ঘরে নজরদারি রাখার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছেন অধ্যক্ষ ড. সিদ্ধার্থ সরকার।

জলপাইগুড়ির আনন্দপুর কমার্স কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি উঠল। এই দাবিতে সরব হলেন কলেজের অধ্যাপকরা। তাদের দাবি, অবিলম্বে অধ্যক্ষকে পদত্যাগ করতে হবে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য সহ একাধিক অভিযোগ তুলেছেন কলেজের অধ্যাপকরা। ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ বলে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন তারা।

কলেজের অধ্যাপকদের অভিযোগ, সম্প্রতি মহিলা অধ্যাপকদের উদ্দেশ্য করে কুরুচিকর মন্তব্য করে অধ্যক্ষ বলেছিলেন, ‘আমি চাকরি না দিলে তোমরা বার ডান্সার হতে।’ একজন অধ্যক্ষের মুখে এরকম কুরুচিকর মন্তব্যের পরে সরব হয়েছেন কলেজের অধ্যাপকরা। তাদের আরও অভিযোগ, মহিলা অধ্যাপকদের ঘরে নজরদারি রাখার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছেন অধ্যক্ষ ড. সিদ্ধার্থ সরকার। শুধু তাই নয়, কলেজের অধ্যাপকদের কোনও সংগঠনে করতে দেননি অধ্যক্ষ। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘কলেজে কোনও রকমের সংগঠন করা যাবে না। আমি কোনও সংগঠন মানি না। এমনকি একজন দৃষ্টিহীন অধ্যাপককে বাইকে করে রাস্তায় ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন অধ্যক্ষ।

কলেজের কমার্সের অধ্যাপক সব্যসাচী বসুর অভিযোগ, ‘রাতে একজন মহিলা অধ্যাপককে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়। তাকে চাকরি থেকে বার করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এই অবস্থায় কলেজে কাজের কোনও পরিবেশ নেই। আমরা মানসিক অশান্তির মধ্যে রয়েছি। এরকম মানসিক চাপ থাকলে কীভাবে আমরা ছাত্রদের পড়াব।’ অতিথি অধ্যাপক বাবাই মালো দাসের অভিযোগ, ‘একজন ক্যাজুয়াল স্টাফকেউ নোটিশ ছাড়া বরখাস্ত করেছেন অধ্যক্ষ। তার প্রতিবাদ আমরা করেছিলাম। আমরা অধ্যাপকের কাছে জবাব চেয়েছিলাম। কিন্তু, উনি কোনও উত্তর দেননি।’

অধ্যাপকদের আরও অভিযোগ, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলে তিনি সংশ্লিষ্ট অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের লেলিয়ে দেন। এই অবস্থায় অধ্যক্ষ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা আরও জোরদার আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশয়ারি। তবে কলেজের পঠন পাঠন স্বাভাবিক রাখা হবে বলেই তিনি জানিয়েছেন। যদিও এই সমস্ত অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ‘আমি অনুশাসন মেনে কলেজ পরিচালনা করছি। তাই আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।’

বন্ধ করুন