কল্যাণীর রানিনগরে বাড়ির মধ্যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকারের ভূমিকা। পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে কী ভাবে বাড়ি বাড়ি গড়ে উঠল বাজি কারখানা সেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রাই। তারই মধ্যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণহানি রুখতে রাজ্য সরকার সত্যিই কতটা তৎপর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ, ২ বছর পার হতে চললেও দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটিতে এখনও বাজি ক্লাস্টারের কাজ শুরুই হয়নি বলে দাবি সেখানকার বাজি ব্যবসায়ীদের। চম্পাহাটির বেগমপুরে বাজি ক্লাস্টার তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। সেখানে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় জমি সরকারের হাতে তুলে দিয়েছেন বাজি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এখনও বাজি ক্লাস্টারের একটি ইঁটও গাঁথা হয়নি বলে অভিযোগ।
২০২৩ সালের মার্চে চম্পাহাটির বেগমপুরে বাজি বাজারের শিলান্যাস করেন স্থানীয় বিধায়ক বিভাস সরদার। এর পর তিনি দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী বাজি ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে এই বাজি ক্লাস্টার তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছেন। এর পর ২০২৩ সালের অগাস্টে সেখানে জমি পরিদর্শনে যান জেলাশাসক পুষ্পা। বাজি হাব তৈরির জন্য বেগমপুর খাল বরাবর ২৫ বিঘা জমি সরকারের হাতে তুলে দেয় বাজি ব্যবসায়ী সমিতি। সঙ্গে দমকল কেন্দ্র তৈরির জন্য দেওয়া হয় আরও ৪ বিঘা জমি। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, বাজি ক্লাস্টারে থাকবে ২টি ভাগ। একটি ভাগে বিধিনিষেধ কিছু কম থাকবে। অন্যটিতে বেশি বিধিনিষেধ মনতে হবে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তার পর থেকে বাজি হাব তৈরির জন্য কোনও উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। বাজি হাবের জমি পতিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যে যার মতো বাড়িতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বানাচ্ছেন বাজি।
কল্যাণীতে বিস্ফোরণের পর ফের একবার সরকারি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, কোনও ঘটনা ঘটলে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রশমণের জন্য ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দেন। যার কোনওটাই পালন করেন না তিনি। বাজি হাবের পরিণতিও তাই হয়েছে। যদিও ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিষ্ক্রিয়তার কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, দ্রুত কাজ এগোচ্ছে।