বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রমোটারকে গুলি করে খুন। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটে মধ্যমগ্রামের রাজবাটি এলাকায়। মৃতের নাম অশোক সর্দার। এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মৃতের ছেলের অভিযোগ, তিনি বিজেপি–র যুব মোর্চার সদস্য। তাই তাঁর বাবাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের দাবি, প্রমোটিং ও জমিজ–জায়গা নিয়ে বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। তদন্ত শুরু করেছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৯টা নাগাদ বাড়িতে থাকাকালীন ব্যবসায়ী অশোক সর্দার খবর পান যে তাঁর প্রজেক্ট এলাকায় গন্ডগোল হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বেরিয়ে যান বাড়ি থেকে। আর সেখানে পৌঁছেই তিনি এদিন খুন হন বলে পরিবারের অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, নির্মীয়মান এক আবাসনের সামনে কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে চেপে এসে অশোক সর্দারকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এদিন বারাসত হাসপাতালে দাঁড়িয়ে মৃতের ছেলে লাল্টু সর্দার অভিযোগে জানান, তিনি বিজেপি–র যুব মোর্চার সদস্য। প্রজেক্ট এলাকায় গন্ডগোলের মিথ্যা গল্প সাজিয়ে এদিন তাঁর বাবাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘আমি আজ বিজেপি করি বলে বাবাকে খুন করা হল। বাড়িতে কয়েকদিন আগে মিটিং হয়। সেই থেকে আমার পরিবারের ওপর নজর রেখেছে তৃণমূল। তৃণমূলের লোকেরাই আমার বাবাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে।’
এ ব্যাপারে বিজেপি–র বারাসত জেলা সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি–র যুব মোর্চার সদস্যের বাবাকে গুলি করেছে তৃণমূল। ওদের সঙ্গে মিলে আছে পুলিশ ও কিছু গুন্ডা। মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে আমি দলকে নির্দেশ দিয়েছি।’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা রথীন ঘোষ। তিনি এদিন বলেন, ‘এই অভিযোগ সঠিক নয়। প্রমোটিং আর জমি–জায়গা নিয়ে গন্ডগোলের থেকেই এই ঘটনা। এর সঙ্গে কোনও রাজনীতির যোগ নেই। স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ নিলেই জানা যাবে।’ প্রমোটিং নিয়ে গন্ডগোল নাকি অন্য কিছু তা জানতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহ।