বাংলাদেশে একের পর এক হিন্দু নির্যাতনের খবর সামনে আসছে। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ থেকে নানা ধরনের হুমকি, হুঁশিয়ারি, ভারত বিদ্বেষী কথাবার্তাও বলা হচ্ছে বলে খবর। তবে এই সব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
এবার বসিরহাটের নাকুয়াদহ হাজরাতলা মোড়ের প্রতিবাদ সভা থেকে পালটা হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এখানে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল বঙ্গীয় হিন্দু রক্ষা সমিতি। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন বন্ধের দাবিতে এই সভা। সেখানে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হয়। ভারতের জাতীয় পতাকাকে বাংলাদেশে অবমাননা করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে সভাস্থলে প্রতিবাদ জানানো হয়। সেই সঙ্গেই বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়া সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবিতে আওয়াজ তোলা হয় এই সভা থেকে।
সেই সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী একের পর এক হুঙ্কার দেন। জয় শ্রীরাম ধ্বনি তোলা হয় সভা মঞ্চ থেকে। শুভেন্দু বলেন, মন্দির ভাঙা বন্ধ না করলে, চিন্ময় প্রভূকে মুক্তি না দিলে, জেহাদিদের আওয়াজ বন্ধ না হলে নতুন বছরে সিনেমা দেখাব। আমাদের দেশে এমন একজন প্রধানমন্ত্রী আছেন যিনি ডঃ শ্য়ামাপ্রসাদ মুখার্জির এক দেশ, এক নিশান, এক বিধান, ৩৭০কে বিলোপ করে কাশ্মীরে ভারতের ঝান্ডা উড়িয়েছেন। এবার সময় এসেছে হিন্দুদের ধর্ম রক্ষার কমিটি তৈরি করার। ধর্ম রক্ষা কমিটি তৈরি করতে হবে। এই লড়াই বাঁচার লড়াই।রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রীর কথার পরিবর্তন কেন হচ্ছে জানেন আপনারা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন, তিনি বুঝতে পারছেন শুধু ৩০ শতাংশ দিয়ে বৈতরনী পার হওয়া যাবে না। ৭০শতাংশ এক হয়ে যাচ্ছে। আপনি এই রাজ্যের ডেমোগ্রাফি বদলে দিয়েছেন। সিপিএম শুরু করেছিল আর আপনি সম্পূর্ণ করছেন। এক কোটি রোহিঙ্গাদের…ঢুকিয়ে দিয়েছেন। ওনার এক মন্ত্রী তো এক ধাপ এগিয়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। বললেন মহম্মদ ইউনুস ঠিক করছেন।ওটা অভ্যন্তরীন বিষয়। এই মুখ্য়মন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের প্রটেকশন দিতে পারেননি। '
সভায় স্লোগান ওঠে, দুনিয়ার হিন্দু এক হও। শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা ভিডিয়ো সূত্রে জানা গিয়েছে।
শুভেন্দু বলেন, পারবেন মুখ্য়মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিতে। সেই সঙ্গে সীমান্তে বেড়া দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার জমি দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে না বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন বন্ধের দাবিতে এদিন উপস্থিত নেতৃত্বরা বার বার দাবি তোলেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এদিন একাধিক সংগঠন এই নির্যাতন বন্ধের দাবিতে মিছিল, সভার আয়োজন করে।