বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হলেও করোনার চিকিৎসা করানো হয়নি। শেষপর্যন্ত হাসপাতালেই মৃত্যু হয় শিবপুরের বাসিন্দা এক সরকারি কর্মচারীর। এমনই অভিযোগ উঠল হাওড়ায়।
পরিবারের তরফে জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হন ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনে কর্মরত শেখ মহম্মদ সেলিম। উপসর্গ থাকলেও করোনা পরীক্ষা করায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অথচ করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য আগাম ৯৫০ টাকা নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, ওই বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য কোনও ব্যবস্থাই নেই। বাইরে থেকে লোক এসে করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য নমুনা নিয়ে যায়। যতক্ষণে নমুনা সংগ্রহ করতে লোক আসেন, ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।
হাসপাতালের তরফে মৃত্যুর খবর জানানোর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আত্মীয়রা। সেলিমের বন্ধু-বান্ধবরা হাসপাতালে ভিড় জমাতে থাকেন। তাঁরা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। তবে যাবতীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, রোগীকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। কিন্ত তা সত্বেও অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। মৃতের এক বন্ধু প্রশ্ন তোলেন, করোনার উপসর্গ থাকা সত্বেও কেন সেলিমের করোনার পরীক্ষা করানো হল না? কেন রোগীকে আইসিইউতে ফেলে রাখা হল? এর কোনও সদুত্তর অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি। তবে করোনা পরীক্ষার জন্য যে টাকা নেওয়া হয়েছিল, তা ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়েছে।