অন্যের হয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রক্সি ডিউটি করে যাচ্ছেন। তার ওপর আবার টাকা না দিলে গর্ভবতী মহিলাকে লিফটে তুলবেন না। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে কর্মরত বুড়া নামে এক দালালের বিরুদ্ধে। ওই দালালের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সম্প্রতি হাসপাতাল চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রশাসনের তরফে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানানো হয়েছে।
গত বুধবার রাতে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে গর্ভবতী মহিলার প্রসবের আগেই সন্তান মারা যায়। তারপর ওই মহিলাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। মহিলার কাছ থেকে সেই সংক্রান্ত কাগজপত্র হাতিয়ে নেয় ওই দালাল। এখানেই শেষ নয়, মহিলার জন্য আসা অ্যাম্বুলেন্স ফিরিয়ে দিয়ে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়। মহিলার পরিবারের লোকেরা বিষয়টি জানার পরেই হই-হট্টগোল শুরু করে দেয়। তখনই ওই দালালের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করে। জানতে পারা যায়, গর্ভবতী মহিলাদের টাকা না দিলে লিফটে উঠতে দেওয়া হয় না।
হাসপাতালে বিভিন্ন বিষয়ে তিনি দালালচক্র চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মন জানান, ‘এটা মারাত্মক অভিযোগ। বুড়ার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুড়া যার হয়ে এই ডিউটি করত, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’