বাবার মৃত্যুর সুবিচারের জন্য যতদূর যেতে হয় যাব। শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই কথাই বললেন রায়গঞ্জে পুজো কার্নিভাল চলাকালীন বলদের গুঁতোয় নিহত সাধন কর্মকারের মেয়ে। এই ঘটনার জন্য তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। পালটা বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল।
শনিবার জুলিদেবী বলেন, ‘আজকে একটা অনুষ্ঠানের জন্য আমার বাবার প্রাণ চলে গেল। আমি তো আমার বাবাকে আর ফিরে পাব না। এটার জন্য কে দায়ী? এর জন্য দায়ী ক্লাব ও প্রশাসন। গৃহপালিত পশুগুলোকে রাস্তায় বের করার আগে কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল কি? যে রাস্তা দিয়ে লোক যাওয়ার জায়গা নেই সেখানে ৬ – ৭ টা গরু নিয়ে কার্নিভাল করার অনুমতি কী করে দিল প্রশাসন? আমি এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করব’।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘শুধুমাত্র একজনের রাজনৈতিক ইগোকে চরিতার্থ করতে কতগুলো অবলা জীবকে রাজপথে ধরা নিয়ে আসা হয়েছে। দুর্গাপুজোর মহিমাকে তৃণমূলের মহিমায় পরিণত করার চেষ্টার পরিণতি এই ঘটনা। সরকার ও মানুষকে ভেবে দেখতে বলছি, আর কতদিন এভাবে চলবে’?
পালটা তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘বিজেপি অকারণে একটা দুর্ঘটনাকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই চেষ্টা নিন্দনীয়। যে কোনও মৃত্যুর দুঃখের। কিন্তু মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি আরও দুঃখের।’
শুক্রবার রাতে রায়গঞ্জে প্রশাসনের উদ্যোগে পুজো কার্নিভাল চলাকালীন শহরের মোহনবাটি এলাকায় গীতাঞ্জলি হলের সামনে বেলাগাম হয়ে যায় একটি বলদ। সেবক পল্লি এলাকায় অনুশীলন ক্লাবের প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গরুর গাড়িতে। তারই একই বলদ বেলাগাম হয়ে গাড়ি ছেড়ে ছুটতে শুরু করে। এর জেরে গাড়ি থেকে মাটিতে আছড়ে পড়ে প্রতিমা। বদলদের গুঁতোয় মোট ৯ জন আহত হন। তার মধ্যে মৃত্যু হয় সাধন কর্মকার নামে রায়গঞ্জের বন্দর এলাকার এক বৃদ্ধের।