বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Pujo tour: কবিতা লেখেন? পাখির ছবি তোলেন?এবার পুজোয় চটকপুর,পাহাড়ের মায়াবী গ্রাম

Pujo tour: কবিতা লেখেন? পাখির ছবি তোলেন?এবার পুজোয় চটকপুর,পাহাড়ের মায়াবী গ্রাম

পাহাড়ের রাস্তার দুধার সবুজে মোড়া। সংগৃহীত ছবি

চটকপুর থেকে মিনিট দশেক দূরত্বের মধ্যে রয়েছে সানরাইজ পয়েন্ট। অপূর্ব সুন্দর এই জায়গা। পাহাড়ের কোল থেকে ধীরে ধীরে ভেসে উঠছে কমলা রঙের সূর্য।

এবার পুজোয় একটু অফবিট জায়গা খুঁজছেন? দার্জিলিং থেকে কাছেই চটকপুরের কথা ভাবতেই পারেন। জঙ্গলে ঘেরা ছোট্ট গ্রাম। সোনাদার উপরেই এই পাহাড়ি গ্রাম।দার্জিলিংয়ে দুদিন কাটিয়ে একটা গাড়ি ভাড়া করে সোজা চলে আসুন চটকপুর। রাস্তার দুধারে পাইনের সারি। কুয়াশার সবদিক আচ্ছন্ন। একেবারে মায়াবী পরিবেশ। সেই পথ ধরে এগোতে থাকবে আপনাদের গাড়ি।৭৮৮৭ ফুট উচ্চতায় ছবির মতো সুন্দরী গ্রাম চটকপুর।সোনাদা থেকে চটকপুরের দূরত্ব মাত্র ৭ কিমি।

কয়েক বছর আগেও এই চটকপুরে পর্যটকদের পা পড়ত না। গাছ মাফিয়াদের উৎপাত লেগেই থাকত। পাহাড়ের মূল্যবান গাছ কেটে চোরাপথে বিক্রি হয়ে যেত। কিন্তু সেসব আজ অতীত।বর্তমানে চটকপুরে গড়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্র। ইকো ট্যুরিজম। শান্ত, সুন্দর, নিরিবিলি গ্রাম। পূর্ব হিমালয়ের শৃঙ্গ দেখা যায় এখান থেকেই। বরফের মুকুট পরে সারি সারি পাহাড়। 

পর্যটকদের জন্য সরকারি কটেজও রয়েছে এখানে। স্থানীয় ফরেস্ট প্রটেকশন কমিটির লোকজন এগুলি দেখভাল করেন।তেমনই একটি কটেজে রাত্রিবাস করতে পারেন। হোমস্টেও গড়ে উঠেছে ইদানিং। সবুজে মোড়া গোটা গ্রাম।ইদানিং চটকপুরে প্রচুর ভেষজ বাগান তৈরি হয়েছে। ঘুরে দেখতে পারেন সেই ভেষজ বাগান।

তবে চটকপুরে বেড়াতে এলে একটা বিষয়ে একটু সতর্ক থাকবেন। জঙ্গলের রাস্তা ধরে একলা যাওয়ার চেষ্টা না করাই ভালো। মাঝেমধ্যেই বন্য জন্তুর আানাগোনা থাকে এই রাস্তায়। ভাল্লুক, লেপার্ডের দেখাও মিলতে পারে। সেক্ষেত্রে সাবধান।

চটকপুর থেকে মিনিট দশেক দূরত্বের মধ্যে রয়েছে সানরাইজ পয়েন্ট। অপূর্ব সুন্দর এই জায়গা। পাহাড়ের কোল থেকে ধীরে ধীরে ভেসে উঠছে কমলা রঙের সূর্য। আকাশ পরিষ্কার থাকলে আপনার সামনে ভেসে উঠবে সুন্দরী কাঞ্চনজঙ্ঘা।আর পোখরির কাছে বসেও কাটিয়ে দিতে পারেন কিছুটা সময়।

শুধু দিনের বেলা পাখির ডাক আপনাকে মোহিত করবে এমনটা নয় রাতেও অপরূপ সুন্দর চটকপুর উপত্যকা। জ্যোৎস্না রাতে চটকপুরের থাকার অভিজ্ঞতা জীবনভর মনে থাকবে। কটেজের বারান্দায় এসে বসুন কিছুক্ষণ। চারপাশটা তাকিয়ে দেখুন। মনে হবে এক অন্য পৃথিবীর বাসিন্দা আপনি। 

মোটামুটিভাবে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে চটকপুর যাওয়াটা ভালো। জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বৃষ্টিতে কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ থাকে পাহাড়ি রাস্তা। সেক্ষেত্রে পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসতেই পারেন চটকপুর। 

নিউ জলপাইগুড়ি, বাগডোগরা, শিলিগুড়ি থেকে গাড়িতে আসতে পারেন চটকপুর। সোনাদা রেল স্টেশন থেকে রোহিনী রোড ধরেও আসা যায় চটকপুর।

 

বন্ধ করুন