আর কিছুদিনের অপেক্ষা। এরপরই বাঙালির শ্রেষ্ঠপুজো। অনেকেই পুজোর ভিড়ভাট্টা এড়াতে পাহাড়ে বেড়াতে যেতে চান। আর পাহাড় মানেই তো সেই চিরচেনা টয় ট্রেন। পাকদন্ডী বেয়ে ছুটে চলা ট্রেন। একে একে পেরিয়ে যায় মায়াবী পাহাড়। মেঘের খেলা পাহাড় জুড়ে। মন জুড়িয়ে যায়। দার্জিলিংয়ে বেড়াতে যাওয়ার আগে টয় ট্রেন আগাম বুকিং করে নেন অনেকেই। আর পুজোর দিনগুলির জন্য় সেই টয় ট্রেন বুকিং করতে গিয়ে মাথায় হাত পর্যটকদের।
সূত্রের খবর, পুজোর মরসুমে ১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত বুকিং প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। ওয়েটিংয়েও রয়েছেন প্রচুর পর্যটক। সেক্ষেত্রে যারা ভেবেছিলেন আর কয়েকদিন যাওয়ার পরে পুজোর বুকিং করবেন তাঁরা একেবারে আকাশ থেকে পড়ছেন।
তবে সূত্রের খবর, ১৫ই অক্টোবরের পরের কিছু টিকিটও এখনও থাকতে পারে। তবে যেভাবে দ্রুত বুকিং হচ্ছে তাতে সেই টিকিট কতদিন থাকবে তা নিয়েও প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। তবে আপাতত এই টয় ট্রেনকে ঘিরে পর্যটকদের বিপুল উৎসাহ দেখে খুশি দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে এখনও হয়তো কিছুটা ক্ষীণ আশা রয়েছে পর্যটকদের মনে।
পরিস্থিতি বুঝে টয় ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। সেক্ষেত্রে কিছুটা আসন বাড়তে পারে। তবে এনিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে ডিএইচআরের দাবি যেভাবে টয় ট্রেন চাপার জন্য় হুড়োহুড়ি পড়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে এবার কালীপুজোর ছুটিতেও ব্যাপক চাহিদা থাকবে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে ডিএইচআর। পর্যটকদের মনে একটাই প্রশ্ন তবে কি পুজোয় টয় ট্রেনে চাপা হবে না?