রবিবারই পূর্ব বর্ধমানে খোঁজ মিলেছে প্রথম করোনা রোগীর। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের ৪৩ বছর বয়সী এক প্রৌঢ়ের দেহে মিলেছে করোনার সংক্রমণ। আর তার পর থেকেই আতঙ্কে কাঁটা হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা। আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, এনেছেন স্থানীয় মানুষ। অভিযোগ, কলকাতা থেকে ফিরে স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশ না-মেনে গোটা এলাকা চরে বেড়িয়েছেন তিনি। তাঁকে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিসে। এমনকী তৃণমূলের হয়ে করোনা ত্রাণ বিলি করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গত ৮ এপ্রিল লকডাউন ভেঙে কলকাতা থেকে খণ্ডঘোষে ফেরেন ওই ব্যক্তি। কলকাতার মেটিয়াবুরুজে সূচিশিল্পের সঙ্গে যুক্ত তিনি। তাঁর গ্রামে ফেরার খবরে বাড়িতে আসেন আশা কর্মীরা। তাঁকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু সেসবে কান দেননি প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার ভাই।
অভিযোগ, ৮ এপ্রিল থেকে প্রায় ১ সপ্তাহ, জ্বর আসার আগে পর্যন্ত গোটা এলাকায় চরে বেড়িয়েছেন তিনি। তাঁকে দেখা গিয়েছে, খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ে, বিডিও অফিসে। এমনকী মোটরসাইকেল নিয়ে কালনায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতেও গিয়েছিলেন তিনি। গ্রামবাসীদের দাবি, সেই সময় খণ্ডঘোষে তৃণমূলের করোনা-ত্রাণ বিলির কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
দলের নেতার ভাইয়ের এই ধরণের কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকা। রবিবার খবর চাউর হওয়ার পর এদিন সেখানে গিয়ে গ্রামবাসীদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলাম। এর পর গোটা গ্রাম সিল করে দেয় প্রশাসন। সিল করা হয়েছে খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ও। ওই ব্যক্তির পরিবার ও প্রতিবেশী-সহ এখনো পর্যন্ত ৩১ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।