পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়া ও পরে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত দেবাশিস পালকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এর পরই অভিযোগকারিনী দাবি করেন, মামলা প্রত্যাহার করতে চান তিনি।
চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের এক মামলায় অভিযোগকারিনী দাবি করেন, ২০২০ সালের মার্চে রাজ্য সরকারি গ্রুপ সি বা গ্রুপ ডির চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন মঙ্গলকোটার ভাল্যগ্রামের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি দেবাশিস পাল। ২ মাসের মধ্যে নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু নিয়োগপত্র সময়ের মধ্যে মেলেনি। এর পর টাকা ফেরত চাইলে তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন দেবাশিসবাবু। তরুণী তাতে সম্মত হলে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ওই তৃণমূল নেতা।
অভিযোগকারিনীর দাবি, শেষে ওই তৃণমূল নেতার হাত থেকে বাঁচতে মঙ্গলকোট ছেড়ে আউসগ্রামে থাকতে শুরু করেন তিনি। আউসগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগ মঙ্গলকোট থানায় স্থানান্তরিত হয়। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।
হাইকোর্টে মামলা হতে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত দেবাশিস পালকে গ্রেফতার করে মঙ্গলকোট থানা। তাঁকে কাটোয়া আদালতে পেশ করা হয়। ওদিকে অভিযুক্ত গ্রেফতার হতেই অভিযোগকারীর দাবি, ‘এটা আমার পারিবারিক ব্যাপার। হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম এটা ঠিক। কিন্তু সেটা কী করে সংবাদমাধ্যমের হাতে গেল জানি না। আমাদের মধ্যে মিটমাট হয়ে গিয়েছে। আমি মামলা প্রত্যাহার করে নেব।’ তিনি জানিয়েছেন, মামলা প্রত্যাহারের জন্য কোনও চাপ নেই তাঁর ওপর।