পঞ্চায়েত ভোট আসতেই তোলাবাজি নিয়ে জনমানসে ক্ষোভ নিরসনের মরিয়া চেষ্টা শুরু করল তৃণমূল। একই মঞ্চ থেকে তোলাবাজি বরদাস্ত হবে না বলে বার্তা দিলেন পুলিশ সুপার ও স্থানীয় বিধায়ক। দলের নামেই যে তোলাবাজি হয় তাও বেফাঁস স্বীকার করে নিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস।
শনিবার বর্ধমান লোকসংস্কৃতি মঞ্চে টোটোচালকদের একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছিল জেলা প্রশাসন। সেই সম্মেলনে পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘কোনও তোলাবাজি চলবে না। বারবার বললাম। গোটা বর্ধমানে কে গুন্ডা আছে আমি দেখতে চাই। আমার কাছে অভিযোগ ছিল স্টেশনের বাইরে কেউ তোলাবাজি করে। অ্যারেস্ট করা হয়েছে? আর যদি কাউকে দিয়েছেন, আপনাদের বিরুদ্ধে কেস করব। এক পয়সা কাউকে দেবেন না। কীসের জন্য তোলা দেবেন? কোনও তোলাবাজি চলবে না। এর পর যদি কেউ তোলা চায় আমার অফিসে আসবেন। এসে আমাকে বলবেন। কিন্তু এসব অপদার্থতা চলবে না।’
এর পর স্থানীয় বিধায়ক খোকন দাস বলেন, ‘পার্টি আপনাদের কাছে টাকা চাইছে, কেন আপনারা টাকা দেবেন? কেউ কোথাও এক পয়সাও দেবেন না। কেউ টাকা চাইলে আপনারা থানায় অভিযোগ করবেন, প্রশাসন তার ব্যবস্থা নেবে।’
পুলিশ সুপারের এই বক্তব্যকে বিলম্বিত বোধদয় বলে দাবি করেছে বিজেপি। স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘সর্বক্ষেত্রে তোলা দিতে দিতে মানুষের মনে যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাহাড়প্রমাণ ক্ষোভ জমেছে তা শাসকদলের নেতারা বিলক্ষণ টের পাচ্ছেন। তাই এখন ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন তাঁরা। বর্ধমান স্টেশনে একটা টোটো নামাতে গেলে ২০ – ৫০ হাজার টাকা দিতে হয় ইউনিয়নকে। তবে তার লিস্টে নাম ওঠে। এখন পুলিশ সুপার, বিধায়ক বলছেন টাকা দেবেন না। তোলাবাজি চলবে না। যে টাকা ইতিমধ্যে লুঠ হয়েছে সেটা আগে ফেরত দিন। শুধু তোলাবাজদের গ্রেফতার করলে চলবে না। ও তো আজ গ্রেফতার করেছে, ভোট মিটলে ছেড়ে দেবে।’