বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ‘যুব তৃণমূলের অত্যাচারে’ একসঙ্গে পদত্যাগ করলেন সভাপতি-সহ সমবায় সমিতির ৮ সদস্য

‘যুব তৃণমূলের অত্যাচারে’ একসঙ্গে পদত্যাগ করলেন সভাপতি-সহ সমবায় সমিতির ৮ সদস্য

প্রতিকি ছবি

সমবায়ের সহ সভাপতি শেখ আপসিয়া বলেন, ‘দলেরই একাংশ দিনের পর দিন আমাদের অপমান করছে। তৃণমূল যুব তৃণমূল নামে এই গোষ্ঠীর অত্যাচারে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি।’

তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে পূর্ব বর্ধমানে কৃষি সমবায়ের পরিচালন সমিতি থেকে পদত্যাগ করলেন ৮ জন। পদত্যাগকারীদের দাবি, যুব তৃণমূল নামে একটি গোষ্ঠী তাদের দিনের পর দিন হেনস্থা করছে। এব্যাপারে পার্টির অভ্যন্তরে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। যদিও বিজেপির দাবি, হাওয়া খারাপ বুঝে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন অনেকে।

পূর্ব বর্ধমানের জামার কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালন সমিতির ৮ জন সদস্য একসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন। এই ঘটনায় বিড়ম্বনায় পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সমবায় সমিতির সভাপতি তথা রায়না ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সঞ্জয় কোঙার বলেন, ‘২০১৯ সালে এই পঞ্চায়েতের লভ্যাংশ ছিল ৩ লক্ষ টাকা। তা বাড়িয়ে ২২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছি। পাশের গ্রামে শাখা খুলেছি। আমরা পুরনো তৃণমূলকর্মী। কিন্তু সম্প্রতি যুব তৃণমূলের নাম করে এসে কিছু লোক আমাদের অপমানজনক কথা বলছে। পঞ্চায়েতে গেলে হেনস্থা করছে। আমরা তা দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। আমরা সম্মানের সঙ্গে দল করতে চাই। তাই পদত্যাগ করেছি।’

সমবায়ের সহ সভাপতি শেখ আপসিয়া বলেন, ‘দলেরই একাংশ দিনের পর দিন আমাদের অপমান করছে। তৃণমূল যুব তৃণমূল নামে এই গোষ্ঠীর অত্যাচারে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি।’

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, ‘একতরফাভাবে সমবায় চালাচ্ছিলেন সঞ্জয়বাবু। কোনও প্রশ্নের জবাব দেন না উনি। সারের দাম বাড়ানোর কারণ জানতে চাইলে অপমান করেছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন তিনি।’

বর্ধমান ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি কাকলি গুপ্ত বলেন, ‘এমন কিছু ঘটেনি যে দুম করে পদত্যাগ করে বসতে হবে। হিসাব চাইলে, হিসাব দিতে হবে। সঞ্জয় কোঙারকে সম্মান দিয়ে পদে বসানো হয়েছিল। উনি নিজের পেটোয়া লোকজন নিয়ে কমিটি গঠন করেছিলেন। এখন সবাই একসঙ্গে পদত্যাগ করে দলের ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করছেন।’ একসঙ্গে পরিচালন সমিতির ৮ সদস্য পদত্যাগ করায় সমবায় সমিতিতে লেনদেনে বাধা পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

বন্ধ করুন