প্রসূতির পরিজনদের কাণ্ডজ্ঞানহীনতায় করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা পূর্ব মেদিনীপুরের বেসরকারি হাসপাতালে। কাঁথির ওই বেসরকারি হাসপাতাল ইতিমধ্যে সিল করে দিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। সঙ্গে সমস্ত চিকিৎসক ও কর্মীদের পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। জ্বর ও শর্দিতে আক্রান্ত ওই প্রসূতির লালারসের নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। প্রসূতিকে নিয়ে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে যান তাঁর পরিজনরা। সেখানে তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখে তাঁকে কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে রেফার করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু কলকাতায় না নিয়ে গিয়ে কাঁথিরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রসূতিকে ভর্তি করান পরিজনরা। রবিবার সেখানেই সিজারের মাধ্যমে একটি সুস্থ সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু তার পরও প্রসূতির জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বাড়তেই থাকে। এর পরই টনক নড়ে বেসরকারি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের। জেলা স্বাস্থ্য দফতরে খবর দেন তাঁরা।
খবর পেয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ওই নার্সিংহোম সিল করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত রোগীকে ছুটি দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে। প্রসূতির লালারসের নমুনা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার ফল না আসা পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে থাকতেই হবে তাঁদের।
এই ঘটনায় কাঁথি হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রোগীকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ না মেনে বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়।
বলে রাখি, এগরার ঘটনার পর পূর্ব মেদিনীপুর এখনো করোনার রেড জোন। গত ১৯ এপ্রিল সেখানে নতুন করোনারোগীর খোঁজ মিলেছে। তবে কাঁথিতে এখনো ঢোকেনি সংক্রমণ। ফলে প্রমাদ গুনছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্তারা।