কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যায় নয়া মোড়। এবার দুই ‘ভাড়াটে খুনি’–কে ধরা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে সিট খুনিদের হাতে পেতে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের দু’টি টিমকে সঙ্গে নিয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে। একটি টিম গিয়েছে বিহারের গয়ায়। আর দ্বিতীয় টিম গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস. সেলভামুরুগন গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন।
ভাড়াটে খুনির বিষয়টি কী? পুলিশ সূত্রে খবর, এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে ভাড়াটে খুনি রয়েছে। তাই ‘ভাড়াটে খুনি’–কে ধরা না গেলে স্বস্তি নেই পুরুলিয়া জেলা পুলিশের। তাই বিহার–ঝাড়খণ্ডে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের দুটো টিম পা রেখেছে। কলেবর সিংকে জেরা করেই দুই ‘ভাড়াটে খুনি’র হদিশ পায় পুলিশ। তবে এখনও এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বেশ কিছু মিসিং লিংক আছে।
এই মিসিং লিংক মেলাতে গেলে দুই ভাড়াটে খুনিকে ধরা দরকার। এখনও পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুন হওয়া কংগ্রেস কাউন্সিলরের ভাইপো তথা তৃণমূল কংগ্রেসের পুর প্রার্থী দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করেছে সিট। তারপর এই ঘটনার মূল চক্রী কলেবর সিংকে গ্রেফতার করা হয়। আর তাকে জেরা করেই পুলিশ ভাড়াটে খুনির কথা জানতে পারে। এই খুনের জন্য একসময় বিহারে থাকা আসিক খানকে পাঁচ লক্ষ টাকার সুপারি দিয়েছিল নিহতের দাদা নরেন কান্দু। তারা দু’জনেই এখন শ্রীঘরে। শনিবার তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
ইতিমধ্যেই দুই ‘ভাড়াটে খুনি’র অবস্থান জেনে ফেলেছে সিট। ‘ভাড়াটে খুনি’র স্কেচ সিআইডি তৈরি করে দিয়েছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশকে। সেই স্কেচ ভিন রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাতে ‘ভাড়াটে খুনি’–দের চিহ্নিত করতে পারা যায় সহজেই। এই দুটি টিমের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখেছেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস. সেলভামুরুগন।