আচমকা কালবৈশাখীর সঙ্গে বজ্রপাতের বৃষ্টিতে বাজ পড়ে মৃত্যু হল তিনজনের। আহত হয়েছেন ৫ জন। মৃতরা হল অযোধ্যার ভুইঁঘোরা গ্রামের রামদাস হাঁসদা (৫৫), বাহের বেসরা (৬০) , চুনারাম কিসকু (৩৫)। আহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে অযোধ্যা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনাটি বুধবার ঘটলেও আজ, বৃহস্পতিবারও শোক নিয়ে চর্চা চলছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি থানার অন্তর্গত অযোধ্যা পাহাড়ের বিদ্যাজারা গ্রামের কাছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তিদের নাম রামদাস হাঁসদা (৫৫), বেহার বেসরা (৬০) এবং চুনারাম কিস্কু (৩৫)। এদের সকলের বাড়ি ভূঁইঘোরা গ্রামে। অল্প সময়ের জন্য বৃষ্টিপাত হলেও বজ্রপাত কেড়ে নিল তিনটি প্রাণ। শিকার উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে একদল আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ এই দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন। এদিন বিকেলে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। তখনই বাজ পড়ে মৃত্যু হয় তিনজনের।
আরও পড়ুন: ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’ নিয়ে কোনও কথা বললেন না অমিত শাহ, দেব প্রসঙ্গেও নিশ্চুপ
বুধবার দিনভর ভ্যাপসা গরম ছিল। তার পর বিকেলে কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। গোটা পুরুলিয়া জুড়ে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড় এবং সঙ্গে বৃষ্টি। তখন মাঠের পাশে ছিলেন ভূঁইঘোরা গ্রামের আটজন বাসিন্দা। মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় তারা পাশে থাকা একটি ফাঁকা বাড়ির কাছে আশ্রয় নেন। আর সেখানেই বাজ পড়লে ঝলসে যান এক মহিলা সহ ৬ জন। অযোধ্যা পাহাড়ের বিদ্যাজাড়া গ্রামের অদূর একটি ফাঁকা বাড়ির কাছে ঝড়বৃষ্টির সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন আটজন। আচমকা বজ্রপাতে গুরুতর জখম হন সকলে। তিনজনকে পাথরডি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে বাকি আহত তিনজনকে অযোধ্যা হিলটপ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি দু’জন এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় তিনটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে বাঘমুন্ডি থানার পুলিশ। একই গ্রামের তিন প্রতিবেশীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভুঁইঘোরা গ্রামে। আজ, বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে তিনজনের বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুরুলিয়ার পাশাপাশি খানাকুলেও বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের হরিশচক এলাকায়। মৃতের নাম লতিকা মাইতি ৫৯ বছর। জমিতে বাদাম তুলতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। হঠাৎই বজ্রপাত হওয়ায় মৃত্যু হয় তাঁর।