বর্ষা এসে গিয়েছে। রুক্ষ পুরুলিয়ায় যেন কেউ জাদুকাঠি ছুঁইয়ে দিয়েছে। ঝিরঝিরে বৃষ্টিকে সঙ্গী করে ঘুরে আসুন পুরুলিয়া। আর সেই পুরুলিয়ায় এবার আপনার গন্তব্য হতেই পারে মাছকাঁদা ঝরনা।
কীভাবে যাবেন?
গাড়ি নিয়ে বাগমুন্ডি-ঝালদা রোড ধরে সোজা করেং মোড়। কাছেই বুরদা ফরেস্ট অফিস। সেটিকে ডানদিকে ফেলে এবার এগিয়ে যাওয়া খয়রাবেড়া রোড ধরে।চারদিকে সবুজের সমারোহ। অচেনা লাগবে এই পুরুলিয়াকে। আপনার সঙ্গী হতে পারে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। এবার খয়রাবেড়া ড্যামকে বাঁদিকে রেখে ডানদিকে খাড়াই পথ ধরে কিছুটা এগোতে হবে আপনাকে। এরপর শুশনিডি গ্রাম। আদিবাসীদের ছোট্ট একটি গ্রাম। সহজ সরল জীবন। নাগরিক জীবনের কলুষতা এখনও স্পর্শ করেনি এই গ্রামকে। সেই গ্রামকে পেছনে ফেলে এবার কাঁচা রাস্তা ধরে এগিয়ে চলা।
চারদিকে সবুজে সবুজ। কাঁচা পথ ধরে এবার শুরু করতে পারেন আপনার হাঁটা পথ। প্রকৃতি যেন এখানে উজার করে দিয়েছে। এবার পাহাড়ি পথ ধরে আপনাকে কিছুটা নামতে হবে। দুদিকে তাকিয়ে দেখুন। সেই কবেকার প্রাচীন শাল, শিমুল পলাশের গাছ ফিস ফিস করে বলছে পুরুলিয়ার কথা। সাবধানে পা ফেলে এগিয়ে চলার পালা।
পাহাড়ের পাথর বেয়ে কিছুটা নীচে নামার পরেই কানে আসবে ঝরনার শব্দ। এটাই মাছকাঁদা ঝরনা। পাথরের উপর আছড়ে পড়ছে জলের ধারা। বর্ষাকালে এই ঝরনার রুপই আলাদা। ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে নেমে আসছে ঝরণার জল। পাহাড়ের সংকীর্ণ পথ বেয়ে আপন গতিতে চলেছে ঝরনা। একটু নীচে নেমে ঝরণার জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকুন। নির্জনে বসে দেখুন প্রকৃতির অন্য ছবি। এখানে মাছ কাঁদে কি না জানা নেই তবে মনের মণিকোঠায় অনেকদিন থেকে যাবে এই মাছ কাঁদা ঝরণা। এই ঝরণা দেখতে হলে অযোধ্যা পাহাড় সংলগ্ন হোটেল বা হোম স্টেতে থাকতেই পারেন।