মিড ডে মিলের চাল মিলছে ওজনে কম। এবার এই অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার। এমনকী এই অভিযোগ সরাসরি শিক্ষকরা জানিয়েছেন বিডিও–কে। সুতরাং সরকারি গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই অভিযোগ আগে তুলেছিলেন অভিভাবকরা। এবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ তুললেন খোদ শিক্ষকরাই। বিডিও’র কাছে একাধিক প্রাথমিক স্কুল এই অভিযোগ জানিয়েছেন।
ঠিক কী অভিযোগ জমা পড়েছে? বিডিও’র কাছে যে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে তাতে শিক্ষকরা জানিয়েছেন, এই মিড ডে মিলের চাল আসে ভাতার সমবায় সমিতি থেকে। এখানের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে তা সরবরাহ হয়। হিসেব অনুযায়ী, প্রত্যেক বস্তায় ৫০ কেজি করে চাল থাকার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্চে সেখানে থাকছে প্রতিটি বস্তায় ৪ থেকে ১০ কেজি কম চাল কম থাকছে।
কিভাবে প্রকাশ্যে এল গড়মিল? স্কুল শিক্ষকদের সূত্রে খবর, পড়ুয়াদের মিড ডে মিল পর্যাপ্ত পরিমাণে দিতে হবে বলে চাপ আসে। তখন সেটা করতে গিয়ে নজরে আসে প্রতি বস্তায় চাল কম আসছে। তখনই তাঁরা মিড ডে মিলের চাল স্কুলে কম আসার ঘটনাটি বিডিও’র নজরে আনেন। ভাতার ব্লকে ৮৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। প্রত্যেকেরই অভিযোগ এক।
এই বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, ‘আমরা চাই ব্লক প্রশাসন এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করুক। আর উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক। ওজন করে দেখা গিয়েছে প্রতিটি বস্তায় ওজন কম থাকছে। তাহলে আমরা বাচ্চাদের খেতে দেব কি করে!’ অভিযোগের কথা স্বীকার করে বিডিও অরুণ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’