কোভিড পরিস্থিতিতে এখন দেশজুড়ে চলছে আনলক ফাইভ। সামনে পুজো। তারপর শীতের আমেজে পিকনিক থেকে ঘুরতে যাওয়া। কাছেপিঠের মধ্যে রয়েছে গড়চুমুক। কিন্তু সেখানে নাকি যাওয়া যাবে না! কেন? জানা গিয়েছে, আমফানের ঝড়ে যেভাবে একের পর এক গাছ পড়ে গিয়েছে তা এখনও সরানো হয়নি। ফলে আগাছায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে জায়গাটি। বসার জায়গার অবস্থা তথৈবচ। ঘাসে ভরে গিয়েছে হাওড়ার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গড়চুমুক।
এখানে যাওয়ার আকর্ষণ কেন? কলকাতা থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে হুগলি আর দামোদর নদীর সঙ্গমে গড়চুমুক। নদীর সৌন্দর্য দেখতে চাইলে এটাই আদর্শ জায়গা। এমনকী এখান থেকেই গাদিয়াড়া, গেঁওখালি কিংবা নূরপুরে গিয়ে ঘুরে আসা যায়। গড়চুমুকের অন্যতম আকর্ষণ ৫৮ গেট। ব্যারেজে ৫৮টা লকগেট রয়েছে। নদীতে নৌকায় চড়ে তা দেখা যেতে পারে। রয়েছে একটা ডিয়ার পার্কও। পিকনিক করে আসার জন্য গড়চুমুক আদর্শ জায়গা। তাছাড়া সকালে রূপনারায়ণের পাড়ে বসে মায়াচরে সূর্যোদয় দেখাটা একটা বড় অভিজ্ঞতা।
কিন্তু খোলেনি গড়চুমুক মিনি জু এবং ডিয়ার পার্ক। কারণ ওই পর্যটন কেন্দ্র সাফাইয়ের কাজই করে উঠতে পারেনি হাওড়া জেলা পরিষদ। সুতরাং এখান থেকে আয় আসার পথও আপাতত বন্ধ। প্রতি বছর বহু মানুষ এখানে বেড়াতে আসেন। কিন্তু এবার বোধহয় এই পরিস্থিতিতে আসতে পারবেন না মানুষজন। অপরিষ্কার গড়চুমুক থাকবে নিঃস্তব্ধ।
জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় বন্ধ করা হয়েছিল এই পর্যটনকেন্দ্র। তারপর আমফানের ধাক্কায় বাবলা, শিরীষ, সাঁইবাবলা, শিশু, সেগুন, মেহগনি–সহ সাড়ে তিনশোর বেশি বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। এখনও পার্কে গাছ পড়ে রয়েছে। দেখভালের অভাবে গজিয়ে উঠেছে লম্বা লম্বা ঘাস ও আগাছা।
সূত্রের খবর, বন দপ্তরের অনুমতি নিয়ে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। কিছু ভুলের জন্য সেটি বাতিল হয়ে গিয়েছে। পুজোর আগেই পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হবে বলে অনেকের দাবি। তবে জঙ্গল ও গাছ সাফাইয়ের কাজ কবে শুরু হবে? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকায়।