ডিএলএড পরীক্ষার প্রথম দিন প্রশ্নপত্রের প্রতিলিপি ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল ডিএলএড-এর প্রশ্নপত্র। এরফলের/ নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যেই ডিএলএডের প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পরবর্তী পরীক্ষাগুলিতে প্রশ্নপত্র যাতে কোনওভাবেই ফাঁস না হতে পারে তার জন্য কড়া ব্যবস্থা নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
মঙ্গলবার পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে তালাবন্দি ট্রাঙ্কে করা প্রশ্নপত্র দেওয়া হয় সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে। সকাল সওয়া ১১ টার পরে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় ভেনু ইনচার্জদের। ভেনু ইনচার্জরা তালাবন্দি ট্রাঙ্ক থেকে প্রশ্ন বের করেন। সেইসঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুধু পরীক্ষার্থী নয়, শিক্ষকদের মোবাইল ফোনও পরীক্ষার সময় অফিসে জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও ডিএলএড-এর দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এখনও সোশ্যাল মিডিয়া ফাঁস হতে দেখা যায়নি।
এদিকে ডিএলএড-এর প্রথম দিনের প্রশ্নপত্র ফাঁস হতেই তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই বিতর্কের পরেই আরও কড়া ব্যবস্থা নিল পর্ষদ। যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের দাবি যে প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়েছে সেটি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর, পরীক্ষার আগে হয়নি। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ডিএলএড-এর প্রথম দিনের পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।