এক ঘণ্টার ব্যবধানে পতাকা নামিয়ে ফের তোলা হল পতাকা। শহিদ দিবস পালনের দিনও কোচবিহারে গোষ্ঠী রাজনীতি প্রকাশ্যে চলে এল। সকাল ৯টার সময়ে পতাকা উত্তোলন করেন কোচবিহারের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। ফের সকাল ১০টার সময়ে আগের পতাকা সরিয়ে ফের পতাকা উত্তোলন করতে দেখা গেল জেলার প্রাক্তন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। এই ঘটনায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির এক ঘণ্টা আগেই তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হাজির হন জেলা সভাপতি পার্ছ প্রতীম রায় ও তাঁর অনুগামীরা। ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৯টা। তিনি ও তাঁর অনুগামীরা এসে পতাকা উত্তোলন করে চলে যান। এর এক ঘণ্টা পর পতাকা উত্তোলন করতে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তখন সেখানে হাজির ছিলেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণ বর্মনও। এছাড়াও জেলার অন্যান্য নেতারাও হাজির ছিলেন। তখন নতুন করে পতাকা সরিয়ে ফের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই প্রসঙ্গে জেলার প্রাক্তন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, ‘করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে আমরা এই অনুষ্ঠানটিকে করেছি। কে কোথায় কী করলেন, সে বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। যাঁর যেমন রুচি, তাই করেছেন।’
এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় অবশ্য জানান, ‘আমি জেলার সভাপতি হিসাবে পতাকা উত্তোলন করেছি। আমার অন্য অনেক কর্মসূচি ছিল। পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথবাবু এসে পতাকা উত্তোলন করেছেন। এটা দলের কর্মসূচি। সকলেই উদযাপন করেছেন। এ নিয়ে বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই।’