শনিবার অমিত শাহর বঙ্গসফরের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সম্মান জানাতে শাহর ব্যানার, পোস্টারে বোলপুরকে প্রায় মুড়ে ফেলেছে বিজেপি। সেই পোস্টার ঘিরেই দেখা দিয়েছে বিতর্ক। ফ্লেক্সে দেখা যাচ্ছে, অমিত শাহের ছবির নীচে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি, আর তার নীচে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার ছবি। কেন ব্যানারে অমিত শাহর নিচে রবীন্দ্রনাথের স্থান? প্রশ্ন ক্ষুব্ধ রবীন্দ্রপ্রেমীদের।
ইদানীং বিজেপি’র বঙ্গ–প্রেম বেশ চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যাকড্রপে কখনও দক্ষিণেশ্বর মন্দির, কখনও বা কোচবিহার রাজবাড়ি। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে চাইলেন তাঁর সৈনিক অমিত শাহও। কিন্তু পোস্টারে ছবির অবস্থান ঘিরে উলটে নতুন বিতর্ক দানা বাঁধল।
এদিকে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস টুইট করেছে, ‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথকে আবারও অপমানিত করার সাহস হয় কীভাবে?’ বিশ্বভারতীর সামনে লাগানো বিতর্কিত পোস্টারে চোখে পড়ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবয়বের আদলে ক্যালিগ্রাফি। তার ঠিক উপরে অমিত শাহের ছবি। সৌজন্যে বোলপুর শান্তিনিকেতন সংস্কৃতি বিকাশ সমিতি।
টুইটারে তৃণমূল কংগ্রেস লিখেছে, ‘সীমার মধ্যে থাকুন অমিত শাহজি ও বাংলা বিজেপি। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ফের হেও করার সাহস হয় কী ভাবে? অত্যন্ত লজ্জার ব্যাপার, গুরুদেবের উপরে নিজেকে রাখছেন আপনি। বাংলার মানুষ কখনও ক্ষমা করবে না।’
বিশ্বভারতী তথা শান্তিনিকেতনের প্রাক্তনী, আশ্রমিক ও সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই ক্ষেত্রে দেখা যায়, মনীষীদের সম্মান জানিয়ে তাঁদের ছবিই হোর্ডিং বা ব্যানারে সবার উপরে স্থান পায়। কিন্তু এখানে ঠিক তার উলটো ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, অমিত শাহকে স্বাগত জানাতে গিয়ে এসব পোস্টার, ব্যানারে বিজেপি আসলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অসম্মান করেছে। এই বিষয়ে দলের নেতা অনুপম হাজরা বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে বোলপুরে নেই। কে বা কারা এই কাজ করেছে জানি না। এই কাজ তৃণমূলের পূর্ব পরিকল্পিত হতে পারে। আমি শান্তিনিকেতনে পৌঁছেই পরবর্তী পদক্ষেপ করব।’
সংবাদমাধ্যমে এই পোস্টারের ছবি ছড়িয়ে পড়ায় প্রবল বিতর্ক শুরু হতেই বিপাকে পড়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিতর্ক এড়াতে হোর্ডিংগুলি খোলার তোড়জোড় শুরু করেছেন তাঁরা।