গতকাল বলাগড়ে গঙ্গার বাঁধ ভাঙন পরিদর্শনে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল। সেখানে তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। এবার এ নিয়ে মনোরঞ্জনকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বিধায়ককে ‘বেবি’ বলে কটাক্ষ করেছেন। একই সঙ্গে বিধায়ক হিসেবে মনোরঞ্জনের কাজের খতিয়ান চেয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন অবস্থায় বলাগড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: ‘অন্য নারীর সঙ্গে অন্যায়…',আরজি কর নিয়ে কাছের মানুষদের সামনে ভেঙে পড়েন মমতা!
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় দল পরিদর্শনে আসার সময় বিধায়ক না থাকায় ক্ষুব্ধ হন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে কেন্দ্রীয় দল চলে যেতেই মনোরঞ্জনকে চুঁচুড়ার সুগন্ধায় নিজের দফতরে ডেকে পাঠান রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রচনা জানান, তিনি ভেবেছিলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী কেন্দ্রীয় দল পরিদর্শনের সময় থাকবেন। কিন্তু ছিলেন না। যদিও মনোরঞ্জন জানান, নেতৃত্বের তরফে তাঁকে ডাকা হয়নি। তাই তিনি কেন্দ্রীয় দলের ভাঙন পরিদর্শনের সময় ছিলেন না। এপ্রসঙ্গে রচনা বলেন, এটা দলীয় কাজ। এটা নিজে থেকেই করতে হবে। কারও আমন্ত্রণ জানানোর প্রয়োজন নেই। এরপরে মনোরঞ্জনকে কটাক্ষ করে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওঁর বয়স হয়েছে। তাই এখন বেবিসুলভ আচরণ করছেন। তাঁকে ফোন করে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তিনি সেখানে আসার পর তাঁকে চা খাওয়ান। রচনা জানান, বিধায়কের মনে যাতে কোনও ক্ষোভ না জন্মায় এবং একসঙ্গে যাতে ভালো করে কাজ করা যায় তার জন্য তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। এরপর রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় মনোরঞ্জনের কাছ থেকে বিধায়ক হিসেবে তাঁর কাজের খতিয়ান চেয়ে পাঠান। জানা গিয়েছে, এর জন্য রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ২৪ ঘণ্টা সময় চেয়েছেন মনোরঞ্জন।
এদিকে, সাংসদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে মনোরঞ্জন জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যে ভাঙন দেখতে আসবে দল থেকে কিছুই তাঁকে জানানো হয়নি। তিনি সংবাদ মাধ্যমে তা জানতে পারেন। তিনি জানান, লোকসভা ভোটের সময় দিদি তাঁকে চুপ থাকতে বলেছেন তাই চুপ আছেন। তাঁকে দলের কর্মসূচিতেও ডেকে পাঠানো হয়না। খতিয়ান চাওয়া প্রসঙ্গে বিধায়ক জানান, তাঁর খতিয়ান চাওয়ার অধিকার আছে। তাই তিনি খতিয়ান দেবেন। বলাগড়ের বিধায়ক জানান, তাঁর কোনও মান, অভিমান বা সম্মান নেই।