শুভেন্দু অধিকারী যখন মন্ত্রিত্ব–সহ অন্যান্য পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন তখন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘শুভেন্দু কংগ্রেসে চলে এলে যোগ্য মর্যাদা দেওয়া হবে।’ তখন এই নিয়ে কথা উঠলেও জোর চর্চা শুরু হয়নি। তবে এবার স্বয়ং কংগ্রেস সাংসদ তথা সোনিয়া তনয় রাহুল গান্ধী পক্ষ থেকে প্রস্তাব আসায় বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে রাজ্য এবং জাতীয় রাজনীতিতে।
এবার সরাসরি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব এল রাহুল গান্ধীর থেকে। যা এখন হট–কেক। শুভেন্দু অধিকারী যে তৃণমূল ছাড়বেন তা এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এমনকী বিজেপিতে যোগ দেবেন তাও একপ্রকার নিশ্চিত। সেখানে কংগ্রেসের শীর্ষস্তর থেকে এই প্রস্তাব অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, শুভেন্দু কী এত বড় মাপের নেতা? আসলে শুভেন্দু কংগ্রেসে এলে রাজ্য কংগ্রেস অক্সিজেন পাবে এবং বাংলায় আবার হাতের পতাকা উড়বে বলে মনে করেন রাহুল।
তাই তিনি সরাসরি তাঁর দূত মারফত ফোন করান শুভেন্দু অধিকারীকে। রাহুলের দূত শুভেন্দুকে ফোন করে বলেন, ‘রাহুল গান্ধী চাইছেন, আপনি কংগ্রেসে যোগ দিন। আপনাদের তো কংগ্রেসি ঘরানার পরিবার। শিশিরবাবু দীর্ঘদিন কংগ্রেসি রাজনীতি করেছেন এবং বিধায়কও ছিলেন।’ বেশ কিছুদিন আগে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একবার শুভেন্দুর কথা হয়েছিল। তখন শুভেন্দু নিজেই কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তারপর সময়ের গতিতে সেটা হয়ে ওঠেনি। তাই এবার রাহুল সরাসরি প্রস্তাব দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু শুভেন্দু কী বললেন রাহুলের দূতকে? শুভেন্দু ফোনে বলেন, ‘এখন সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সুসম্পর্ক এবং সৌজন্য বজায় থাকবে। আমার জন্মদিনে উনি ফোন করেছেন। আমি খুব খুশি। ওনাকে ধন্যবাদ জানাবেন। সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন।’ সুতরাং শুভেন্দু কংগ্রেসে যাচ্ছেন না কনফার্ম। তৃণমূলে থাকছেন না। সিপিএম নেবে না। তাহলে বিজেপি যোগ নিশ্চিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।