ভয়াবহ অভিযোগ উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। পড়ানোর নাম করে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধরে যৌন নিগ্রহ করা হত বলে অভিযোগ। ওই শিক্ষকই ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহ করতেন বলে অভিযোগ। এমনকী তার স্ত্রীও এই ঘটনায় সহায়তা করতেন বলে অভিযোগ উঠছে।
সূত্রের খবর, ওই ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহ করার সময় তার ছবি তুলে রাখা হত। এরপরই সেই ছবি দেখিয়ে তাকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেলিং করতেন ওই শিক্ষক দম্পতি। ওই দম্পতির বাড়ি রায়গঞ্জের রমেন্দ্রপল্লি এলাকায়। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ছাত্রী একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। এদিকে মাস ছয়েক ধরেই ওই শিক্ষক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহ করত বলে অভিযোগ। আর সেই কাজে পাশে থাকতেন শিক্ষিকার স্ত্রী। তিনি নানাভাবে স্বামীকে সহায়তাও করতেন। প্রায় মাস ছয়েক ধরে এই কাজ চলত। এদিকে ওই ছাত্রী অবশ্য যথারীতি আপত্তি জানাত ওই কাজে।
কিন্তু তার আগেই যৌন নিগ্রহের ছবি তুলে রেখেছিলেন ওই শিক্ষক। এরপর সেগুলিকে প্রকাশ্যে আনার হুমকি দিয়ে শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং। ওই ছাত্রীর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করতেন ওই শিক্ষক দম্পতি। অভিযোগ এমনটাই। ওই ছবি দেখিয়ে কিশোরীর বাবা মায়ের কাছ থেকেও তারা টাকা আদায় করতেন বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে ১০ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে ছাত্রীর পরিবারের দাবি। এরপর মঙ্গলবার রাতে ফের চাপ দেওয়া শুরু করলে ছাত্রীর পরিবার থানার দ্বারস্থ হয়।